সিবিআইয়ের চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য, চাকরির সুপারিশে নাম দিব্যেন্দু-ভারতীর
Sensational information in CBI chargesheet Divyendu-Bharti's names recommended for job

Truth Of Bengal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার চার্জসিটে জমা দেওয়া একটি তালিকা সামনে এসেছে। সেই তালিকা ‘আরো খবর’-এর হাতেও। সিবিআইয়ের চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। চাকরির সুপারিশে নাম বর্তমান বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর। একজন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং অপরজন ভারতী ঘোষ। তারা একাধিক চাকরি প্রার্থীর নামের তালিকা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাছে পাঠিয়ে সুপারিশ করেছিলেন।
তবে এই তালিকায় শুধু দিব্যেন্দু ও ভারতী ঘোষ নন, নাম আছে মমতা বালা ঠাকুর সহ আরও অনেকের। রাজ্য রাজনীতির একাধিক হেভিওয়েটের নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তারা তাদের পরিচিতদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন বলে খবর। গোটা তালিকার অনেকেই চাকরি পান বলেও জানা যাচ্ছে। প্রাথমিককে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে গত বছর জুন মাসে বিকাশ ভবনে বিশেষ তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বিকাশ ভবনের ওয়্যার হাউসে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে এই নথি উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। এই নথি সূত্রে জানা যাচ্ছে দিব্যেন্দু অধিকারী এবং ভারতী ঘোষ একাধিক নামের সুপারিশ করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে।
দিব্যেন্দু অধিকারীর নামের পাশে এমপি এবং ভারতী ঘোষের নামের পাশে এসপি উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি দুর্নীতি নিয়ে কথায় কথায় রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে থাকে। শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিজেপি। এই তালিকা থেকে স্পষ্ট, যারা বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, এবার কী জবাব দেবে রাজ্যের বিরোধী দল? যেখানে খোদ বিরোধী দলনেতার ভাইয়ের নাম রয়েছে। রয়েছে দলের অন্যতম নেত্রীর নাম।
সিবিআই-এর চার্জশিটে নাম থাকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যদি নাম এসে থাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন, কথা বলতে পারেন। কথা নেই, বার্তা নেই, আপনারা যা ইচ্ছা তাই করবেন ? আমি সিবিআইকে বলব, কাম আউট ক্লিন। যা আছে বের করুন না সবার সামনে। একটু দেখি, বুঝি। একটা নাম ঢোকাচ্ছেন। একটা রেপুটেশনে দাগ লাগানোর চেষ্টা করছেন। করবেন না।”
বিজেপি নেত্রীর কড়া বার্তা, ‘ভারতী ঘোষ কাউকে ভয় পায় না। জীবনে ভয় পায়নি, এখনও ভয় পায় না।’ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘পুরোটাই চক্রান্ত। এ সব কিছুই জানি না। অন্যায়ের সঙ্গে কোনভাবেই যুক্ত নই।’ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি দিব্যেন্দু অধিকারী। কোনরকম এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেননি। নো কমেন্টস। বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।