রাজ্যের খবর

গ্রীষ্মের ফলেই ভরসা, গোঘাটে দেশি তরমুজ চাষে রমরমা

Relying on summer fruits, local watermelon cultivation booms in Cowhat

Truth Of Bengal: সৌভিক গোস্বামী, আরামবাগ: গরমের দিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও উপকারী ফল তরমুজ। আর সেই তরমুজ যদি হয় দেশি জাতের, তাহলে তার স্বাদ ও গুণমান আলাদাই। হুগলির গোঘাট ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালশাঁড়া গ্রামের কৃষকরা বহু বছর ধরেই সফলভাবে দেশি তরমুজ চাষ করে চলেছেন।

প্রায় ২০-২৫ বছর ধরে এই গ্রামের মাঠে তরমুজ চাষ হচ্ছে। এবছর গোয়ালশাঁড়া এলাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ একর জমিতে দেশি তরমুজের চাষ হয়েছে। কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে যেখানে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা, সেখানে খরচ বাদ দিয়েও প্রায় সমপরিমাণ লাভ হয়। যদিও এই বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কিছুটা কম হওয়ায় লাভও কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

তবে অন্য ফসল যেমন তিল, পাট কিংবা বাদামের তুলনায় তরমুজ চাষে লাভ বেশি, পরিশ্রমও কম। রোপণের ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ফল ওঠে। একটি গাছে তিনবার পর্যন্ত ফল হয়। এই তরমুজ মাঠ থেকেই পাইকারি দরে বিক্রি হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

তরমুজ চাষ শুধু কৃষকদেরই নয়, তোলার কাজ করা শ্রমিকদেরও জীবিকা নিশ্চিত করে। তাঁরা কুইন্টাল অনুযায়ী মজুরি পান। তবে এবছর ফলন কম হওয়ায় তাঁদের আয়েও টান পড়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই এই তরমুজ চাষ চললেও কৃষকরা কোনও সরকারি সাহায্য বা ব্যাংক ঋণ পাননি। তাঁদের দাবি, যদি সরকারি লোন বা অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে তাঁরা আরও বড় পরিসরে এই লাভজনক চাষ চালাতে পারবেন। সেই উদ্দেশ্যে তাঁরা শীঘ্রই প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

এইভাবে গোয়ালশাঁড়া এলাকার দেশি তরমুজ চাষ শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, একটি স্থায়ী চাষাবাদের মডেল হিসেবেও রাজ্যের অন্য কৃষকদের জন্য উদাহরণ হয়ে উঠছে।

Related Articles