রাজ্যের খবর

দেবীপক্ষের সূচনায় ‘শক্তি’ প্রকল্প! অশুভ শক্তি বিনাশে আত্মরক্ষার পাঠ পুলিশের

purulia police starts shakti project to train girls karate during debipakkho

Truth Of Bengal : দেবীপক্ষের সূচনায় শক্তির প্রকাশ! অশুভ শক্তিকে পরাজিত করার লক্ষ্যে এবার আত্মরক্ষার পাঠ দেবে পুলিশ। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটের দিকে নজর রেখে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘শক্তি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বেলগুমা পুলিশ লাইনের প্যারেড গ্রাউন্ডে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের অধীনে, স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, প্রাথমিকভাবে ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছাত্রীদের নিয়ে। এই উদ্যোগকে সকলে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রকল্পের প্রথম ধাপে, প্রতিটি থানায় ২০ জন ছাত্রী নিয়ে একটি ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। বেলগুমা পুলিশ লাইনে পুরুলিয়া সদর, মফস্বল ও টামনা থানার জন্য আলাদা শিবির থাকবে। পুলিশ সুপার বলেন, “আমাদের প্রকল্পের লক্ষ্য হলো অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সমাজে নতুন আলো ফেরানো। দেবীপক্ষের সূচনায় আমরা ‘শক্তি’ প্রকল্প শুরু করেছি। ছাত্রীদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মরক্ষা শেখানো হবে, প্রথমে স্কুল স্তরে এবং পর্যায়ক্রমে কলেজ স্তরে।” প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ অবৈতনিক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ‘শক্তি’র জার্সি প্রশিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

পুরুলিয়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি থানা এলাকায় প্রথমে ২০ জন ছাত্রীর জন্য শিবির হলেও, ছাত্রীদের উৎসাহ অনুযায়ী পরবর্তীতে সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশ প্রশিক্ষক নিয়োগ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্রীদের শুধু আত্মরক্ষা নয়, শারীরিক ও মানসিক দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায় বলেন, “এই প্রকল্প জীবন দর্শন পরিবর্তন করতে এবং আত্মসংযম তৈরি করতে সক্ষম। এটি সঠিক মানুষ গড়ে তোলার পথ দেখায়। এই কারণেই আমরা আপাতত স্কুল স্তরে এই প্রকল্প চালু করলাম।”

পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত এবং পুলিশ সুপার ছাড়াও এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করেছেন। ঝালদা ও বেলগুমা পুলিশ লাইনের ট্রেনাররা, রামকৃষ্ণ সাউ এবং দীপায়ন সিং বলেন, “বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই প্রকল্প শুধু আত্মরক্ষার জন্য নয়, ছাত্রীদের বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করবে।” ঝালদা গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়া দে এবং অর্পিতা সাহা যোগ দিয়েছেন, “ক্যারাটে শিখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমরা চাই প্রত্যেক ছাত্রী ক্যারাটে শিখুক। ইভটিজিং বা হেনস্তার মোকাবিলা করতে এই প্রকল্প আত্মরক্ষার্থে ব্যাপকভাবে কার্যকর হবে।”

Related Articles