বকেয়া বিল মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলো বিদ্যালয়ে
Power supply disconnected at school due to non-payment of outstanding bills

Truth Of Bengal: বকেয়া বিল মেটাতে না পেরে মাদারিহাট মডেল স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল বিদ্যুৎ দফতর। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট মডেল স্কুলে দুদিন পূর্বে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ দফতর। বকেয়া বিলের পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষ আটানব্বই হাজার।
এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে, তারপর থেকে বিদ্যুৎ বিল জমতে জমতে হয়ছে তাকার পাহাড়। সেই বিপুল পরিমান টাকা মেটাতে অপারগ হয় স্কুল। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়েছে বিদ্যালয়ের ২০০ জন ছাত্রছাত্রী। প্রচণ্ড গরমে মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে ফ্যান না চালিয়ে। এছাড়া বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কেননা বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের মোটর চালানো যাচ্ছেনা।
বর্তমানে তীব্র দাবদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় খুবই সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। এই বিষয়ে বিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, কোভিড সময়ে এই স্কুলে কোয়ারেনটাইন সেণ্টার করা হয়েছিল সেই সময় একটা বিদ্যুৎ বিল জমা আছে। পরবর্তীতে ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহীনি ছিল সেই সময় বিল। দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর থেকে বিল জমা হচ্ছে।
শিক্ষকরা আরও জানান, স্কুলের জন্য দফতর থেকে প্রতি বছর দশ হাজার টাকা পাঠানো হয় বিদ্যুৎ বিলের জন্য সেটা জমা করা হচ্ছে। এমনকি এই বছরেও জানুয়ারি মাসে বিল জমা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিদ্যালয়ের অনেক কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টা কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা।
অপরদিকে ডুয়ার্সের আ্যামাজন বলে খ্যাত আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের সিকিয়াঝোড়া পর্যটন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎ বিল মেটানো হয়নি সরকারি ভাবে ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে গত বুধবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গেছেন ।
শুক্রবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং পর্যটকদের কাছ থেকে শোনা গেল হতাশার সুর। যদিও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনাটি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই চৈত্র মাসে পর্যটকরা সিরিয়া ঝোরা পর্যটন কেন্দ্রে এসে হতাশ হয়ে পড়েছেন। পানীয় জল নেই । বাথরুম গুলো থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ক্যান্টিনে বিদ্যুৎ না থাকায় ঠান্ডা জল কিংবা পানীয় পাচ্ছেন না পর্যটকরা।
রীতিমতো একদিকে ক্ষোভ অন্যদিকে হতাশার সুর শোনা গেছে পর্যটকদের মুখ থেকেই। আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের মাঝের ডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিকিয়াঝোড়া পর্যটন কেন্দ্রে আলিপুরদুয়ার দুই ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি দ্বারা পরিচালিত।প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি কুড়ি টাকা। এরপর নৌকা বিহারে লাগে জনপ্রতি ষাট টাকা। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পর্যটক আসছেন উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এরপরেও বিদ্যুৎ বিল মেটানো হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন স্কুল, অঙ্গনয়াড়ি কেন্দ্র, পঞ্চায়েত দফতর, সরকারি দফতরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা।
বিদ্যুৎ দফতরের আলিপুরদুয়ার আধিকারিক পার্থপ্রতিম মণ্ডল জানান সব মিলিয়ে দুই কোটি বাষাট্টি লক্ষ বিল বকেয়া আছে।
মাসের শুরুতে মিটিং করে বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে কিছু কিছু দফতর থেকে বিল দিয়েছে অনেক দফতর বিল দেয়নি। অনেক স্কুল বিল দেয়নি অনেক জায়গায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে আর যেখান থেকে দীর্ঘদিন থেকে বিল জমা হচ্ছেনা সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।