রাজ্যের খবর

বাঁকুড়ায় বেহাল অবস্থা রাস্তার, ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

Poor condition of roads in Bankura, locals suffer

Truth Of Bengal: রাস্তা তৈরির বোর্ড পড়েছে কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তৈরি হয়নি রাস্তা। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স বা যেকোনো গাড়ি ঢোকতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালকদের। আবাসের ঘর করার জন্য গ্রামে ইট বালি সিমেন্ট পরিবহন করতেও খরচ পড়ছে দ্বিগুণ। বেহালা রাস্তায় সমস্যায়ইয়পরেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর, মহেশপুর, ডোঙ্গালন এবং গয়লা পুকুর এই চারটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভগে। ডঙ্গালন থেকে মঙ্গলপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। এখনো পর্যন্ত মাটির এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয় এলাকার মানুষদের। গ্রামবাসীদের দাবি গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে সমস্যা হয়। এমনকি আবাসের বাড়ি তৈরির জন্য ইট সিমেন্ট বালি কিনতে গেলেও রাস্তার জন্য তার ভাড়া পরে দ্বিগুণ। স্বাভাবিকভাবেই চরম সমস্যায় পড়েছে স্থানীয়রা।

বেহাল রাস্তায় জীবন অতিষ্ঠ। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি কংক্রিটের বা পাকা রাস্তা। এলাকার মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পথশ্রী প্রকল্পে এই সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে রাজ্য সরকার। দায়িত্বভার দেয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার হাতে। রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাস্তায় বোর্ডও দেওয়া হয় ডাবলুবিএসআরডিএ সংস্থার পক্ষ থেকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ডোঙ্গালন থেকে মঙ্গলপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক কোটি ৩২ লক্ষ ৭১৯৪ টাকা। তাতেই খুশি হয়েছিল এলাকার মানুষজন।

কিন্তু সেই বোর্ড পড়ার পর দু বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় এলাকার মানুষজন। তবে কেন রাস্তা হয়নি এই বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে জানতে গেলে তারাও কোনো সদ উত্তর দিতে পারেননি।

এবিষয়ে ইন্দাস ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, গ্রামবাসীর দাবিটা ন্যায্য দাবি। রাস্তা কেন হয়নি সেই বিষয়ে তাদের কাছেও কোন সদুত্তর নেই। তারা জানাচ্ছে বরাত পাওয়া সংস্থা এবং ডাবলুবিএসআরডিএ এর আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে। ‌যদিও এই বিষয় নিয়ে ডাবলুবিএসআরডিএ এর কোন আধিকারিকই মুখ খুলতে রাজি হননি। রাস্তা তৈরির বোর্ড পড়েছে কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি রাস্তা। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স থেকে যেকোনো গাড়ি ঢুকতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় চালকদের।

 

 

Related Articles