রাজ্যের খবর

দিনহাটায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার পাকিস্তানি মর্টার, এলাকায় চাঞ্চল্য

Pakistani mortar recovered on India-Bangladesh border in Dinhata

Truth Of Bengal: কোচবিহার: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দিনহাটার ঝিকরি গ্রামে মর্টার উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। স্থানীয় এক কৃষক জমিতে কৃষি কাজ করতে গিয়ে তিনি মর্টারটি দেখতে পান। প্রথমে তিনি লোহা ভেবে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দেখেন মর্টারটির গায়ে পাকিস্তান লেখা রয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি স্থানীয় বিএসএফের কাছে নিয়ে গেলে বিএসএফ মাটি গর্ত করে তাকে বস্তা দিয়ে ঘিরে রাখে। এরপর বিন্নাগুড়িতে বোম স্কোয়াডে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মর্টারটি নিষ্ক্রিয় করে। তবে কি করে মর্টারটি এসেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ।

বাংলাদেশে যখন ভারত বিরোধিতা বাড়ছে, তখন কোচবিহার সীমান্তে উদ্ধার হল মর্টার। দিনহাটার ঝিকরি গ্রামে মর্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।কারণ সেই মর্টারের গায়ে লেখা রয়েছে পাকিস্তান। বিএসএফের অধিকারিকরা কোথা থেকে মর্টার এল তার খোঁজখবর শুরু করে। বোম স্কোয়াড এসে মর্টার নিষ্ক্রিয় করে।সন্দেহ দানা বেঁধেছে,দেশবিরোধী শক্তি কী সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

কখনও কলকাতা কখনও দিল্লি আক্রমণের হুঙ্কার দিচ্ছে বাংলাদেশের মৌলবাদীও কট্টরপন্থীরা। বাংলাদেশ থেকে তর্জন-গর্জন ভেসে আসায় আশঙ্কা বাড়ছে।ওপার বাংলায় যখন ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার হল মর্টার। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন দিনহাটার ঝিকরি গ্রাম থেকে এই মর্টার উদ্ধার হওয়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। আশঙ্কা দানা বাঁধে তাহলে কী তলে তলে বাংলাদেশ সীমান্তে দেশবিরোধীরা অস্ত্র আমদানি করছে?কোচবিহারের দিনহাটার চৌধুরীহাট এলাকায় এক কৃষক তাঁর জমি খোঁড়ার সময় দেখেন, মাটির নিচে শেল পোঁতা রয়েছে। চাষের জমিতে মর্টার মেলায় সঙ্গে সঙ্গে সাহেবগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পাঠানো হয় বিএসএফকেও। মর্টারের গায়ে পাকিস্তান লেখা থাকায় সন্দেহ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় ওই জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়েছে। খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে।বোম স্কোয়াড এসে মর্টার নিষ্ক্রিয় করে।

এই শেল কি সত্যিই পাকিস্তানে তৈরি? তাহলে সীমান্তে কে রেখে গেল সেটা? কেন এই মর্টার  রেখে গেল? বাংলাদেশে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সময় এই মর্টার রাখা হয় নাকি অতীতে এভাবেই পুঁতে রাখা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধোঁয়াশা কাটাতে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। কোনও বৃহত্তর ছক রয়েছে,নাকি অন্যকোনও উদ্দেশ্য রয়েছে, সবটাই তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সীমান্তের মানুষ এই ঘটনার পর বেশ শঙ্কিত।তাঁরা চান দুপারে শান্তি বজায় থাক। সম্পর্কের শিকড়ের সূত্র ধরে সৌহার্দ্রের বাতাবরণ চায় বাংলার মানুষ। তারমাঝে যাঁরা উত্তেজনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে তাঁদের কড়া হাতে মোকাবিলা করা হোক বিএসএফের তরফ থেকে চাইছেন সীমান্তের মানুষ।বিশ্বদীপ সাহার রিপোর্ট।

Related Articles