
The Truth of Bengal: সরকারি জায়গায় নতুন করে নির্মাণ কাজ চলাকালীন একের পর এক মৃতদেহর মাথার খুলি এবং দেহের হাড় উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য নদীয়ার শান্তিপুরে। ভয়ে কাজ ছেড়ে চলে যায় রাজমিস্ত্রিরা, এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এলাকাবাসীরা ফরেনসিক তদন্তের দাবি করেছেন। ঘটনাটি ঘটে নদীয়ার শান্তিপুর শহরের 18 নম্বর ওয়ার্ডের তোপখানাপারা চারমাথা মোড়ে। সেখানে বহু পূর্বে ব্যক্তি মালিকাধীন থাকলেও বেশ কিছু বছর আগে রাজ্য সরকারের wb acdcl একটি জায়গা কেনে সব স্টেশন করার জন্য। তারই খনন কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগে। ভিতের জন্য মাটি খোঁড়াখুড়ির ফলে উদ্ধার হয়েছিল মানুষের মাথার খুলির কয়েকটি অংশ। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।
এরপর গতকাল সন্ধ্যায়, রাজমিস্ত্রিরা কাজ ছুটি করে যাওয়ার আগে হঠাৎ লক্ষ্য করেন মৃতদেহর হাত এবং পায়ের বেশ কিছু বড় হাড়। তড়িঘড়ি তারা ওই অংশের টিন চাপা দিয়ে, ভয়ে চলে যান কাজ ছেড়ে। এক প্রতিবেশী কে সি দাস রোডের টুটুল শেখ তিনি বলেন,এই এলাকায় প্রতিদিনই কাজের শেষে সন্ধ্যের সময় চা খেতে আসেন। ভয়াবহ পরিবেশ এবং মানুষের গুঞ্জন শুনে সংবাদমাধ্যমকে খবর দেন। এলাকার ক্লাব সদস্য রাজিব শেখ ফরেনসিক তদন্তের দাবি তুলেছেন। এবং কর্তৃপক্ষ এসে এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করারও দাবী করেছেন তিনি। মসজিদ কমিটির সম্পাদক বাবু শেখ জানাচ্ছেন, সরকারি কাজে যাতে কোনরকম বাধা না পারে সে ব্যাপারে তারা সহযোগিতা করবে।
স্থানীয় কাউন্সিলর নরেশ লাল সরকার জানাচ্ছেন, পার্শ্ববর্তী রাজকোট পড়া এবং ওই এলাকা তোপখানা পাড়া বরাবরই মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা।বহু প্রাচীনকালে সম্রাট ঔরঙ্গজেব খান সেনাদের বসতি স্থাপন করেছিলেন ওখানে। সেই হিসেবে আজও ওখানে বহু পরিবারের পদবী খান। তখন বাড়িতে বাড়িতে কবরের ব্যবস্থা ছিলো। তাই হয়তো খননের ফলে উঠে আসছে। তবে এই নিয়ে চাঞ্চল্যের কিছু নেই, আমি ইলেকট্রিক সাপ্লাই এবং শান্তিপুর থানার সাথে কথা বলবো। কিন্তু আজ সকালে সূত্রাগড় বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের স্টেশন ম্যানেজার ছুটিতে থাকার কারণে তারা যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি, তবে কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশ্বস্ত করেছেন সকলকে। শ্রমিকের সংখ্যা অত্যন্ত কম থাকলেও দুই একজন কে আজ কাজ করতে দেখা গেছে।
Free Access