কাশিমপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধের দেহ, খুন না আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ
Old man's body found in blood in Kashimpur, murder or suicide? Police investigating

Truth Of Bengal: মালদা জেলার চাঁচল থানার অন্তর্গত ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমপুর এলাকায় শনিবার সকালে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়, যখন এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির নাম বিলাতু মন্ডল (৬২)। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি ধারালো চাকুও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এলাকার কয়েকজন গ্রামবাসী একটি ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন থাকায় পুলিশ খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না। আবার, দেহের পাশেই চাকু পাওয়া যাওয়ায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে নিহতের পুত্র দাবি করেছে, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন এবং আত্মহত্যা করেছেন। যদিও এই দাবিকে পুরোপুরি মেনে নিচ্ছে না পুলিশ। তারা বলছে, ঘটনার প্রকৃতি অনুযায়ী এটি আত্মহত্যা না খুন, তা পরিষ্কার হতে সময় লাগবে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। স্থানীয়দের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর গ্রামে আতঙ্ক ও কৌতূহল ছড়িয়েছে। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শেষ করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করুক, এই দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এখন সকলের নজর পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকে। বিলাতু মন্ডলের মৃত্যু কি নিছক আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে রয়েছে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র—উত্তর দেবে আগামি দিন।