বন্যা নিয়ন্ত্রণে খাল-নদীর সংস্কারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ নবান্নের
Nabanna has taken special initiative to renovate canals and rivers for flood control

The Truth Of Bengal: বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সেচ দফতর বিভিন্ন জেলায় মজে যাওয়া খাল সহ ছোট নদী সংস্কারের প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করছে। রাজ্যের সেচ সচিব প্রভাত মিশ্র ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের চিঠির মাধ্যমে ছোট নদী সহ খাল চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসকদের প্রভাত মিশ্র চিঠিতে লিখেছেন, “অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার অন্যতম কারণ পলিমাটিতে খাল ও ছোট নদীগুলি মজে যাওয়া। এজন্যই হচ্ছে নদী ভাঙন। তাই এখনই জেলাগুলিতে মজে যাওয়া বা জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া খাল ও নদীগুলি চিহ্নিত করে পলিমাটি তুলে সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। তা না হলে বর্ষায় বন্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।” তিনি স্মরন করান, যে জমিগুলি পলিমাটিতে মজে গিয়েছে তা জেলা কালেক্টরেটের নামেই রেকর্ড রয়েছে। সেগুলি থেকে পলি তোলার কাজ করা যেতে পারে। সম্প্রতি নদিয়ায় বুড়ি-গঙ্গার মজে যাওয়া পলিমাটি তুলে নদিতে পুর্নজ্জীবিত করার প্রসঙ্গও তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের আগেই ‘জল ধরো, জল ভরো’ কর্মসূচির মাধ্যমে পুকুর কাটার উদ্যোগ করা হয়। এই পরিকল্পনাটি ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্ম প্রকল্পের মাধ্যমে রূপায়ণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্যে সরকারি জমিতে লক্ষাধিক পুকুর কাটার কাজ হয়েছে। সে কারণে রাজ্যে মজে যাওয়া খাল সংস্কার করতে চায় রাজ্য সরকার। এর সাথেই সরস্বতী সহ কানা দামোদর নদীর মতো ছোট নদীগুলি সংস্কারের কাজে হাত দিতে চায় প্রশাসন। তা ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব।
সেচ দফতরের দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের কাছাকাছি ১৩০ মিটার জুড়ে গঙ্গা ভাঙন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। গঙ্গা তীরবর্তী শিবপুর গ্রামটি বুধবারই ভাঙনে গিয়েছে। সে কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে জেলাশাসকদের কাছে দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসূচি নিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।