রাজ্যের খবর

শিলিগুড়িতে রহস্যমৃত্যু, বহুতল থেকে উদ্ধার নার্সের মৃতদেহ

Mysterious death in Siliguri, body of nurse recovered from multi-storey

Truth Of Bengal: বর্তমানে আরজি কর কাণ্ডে উতপ্ত বহু মানুষ, বিচারের আশায় ধর্নায় বসেছে চিকিৎসক সমাজ। আর তারই মাঝে আবারও এক রহস্যময় ঘটনা। এবার শিলিগুড়িতে এক নার্সের রহস্যমৃত্যু। বহুতলের শৌচালয়ে ঝুলছিল তাঁর দেহ। এরপর মৃতার দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ। মৃতার নাম অর্চনা থাপা, বয়স ২৫। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবারের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে, আর বাসভবন দার্জিলিং থেকে তারা রওনা দিয়েছে। তবে একটি প্রশ্ন ক্রমশ ভাবিয়ে তুলছে পুলিশকে, এটি খুন নাকি আত্মহত্যা?

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনপল্লির মুকুন্দ দাস সরণির একটি বহুতল থেকে ওই নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসাবে কাজ করতেন অর্চনা। এলাকাবাসীর তরফ থেকে এই বহুতল ঘিরে একাধিক অভিযোগ এসেছে পুলিশের কাছে।

অভিযোগ উঠেছে, শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডের বেসরকারি একটি হাসপাতালের নার্স ও বিভিন্ন কর্মীরা এখানে থাকেন। কিন্তু এখানে গভীর রাত পর্যন্ত অচেনা মানুষের যাতায়াত দেখা যায়। তারা আরও জানিয়েছেন যে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই বহুতল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান ২০-২৫ জন নার্স।

এরপর বেশ কিছু ছেলে আসে সেখানে। এরপর ওই বেসরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুল‍্যান্সও চলে আসে ওই নার্সের মৃতদেহ নিতে। এলাকাবাসীরা এর পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পৌঁছায় এলাকার কাউন্সিলর জয়ন্ত সাহার কাছে তারপর তিনিই খবর দেন পুলিশকে। এরপর উদ্ধার হয় মৃতার দেহ।

এর পর কাউন্সিলর জয়ন্ত বলেন, “আজ এলাকাবাসীর জন্য এই ধরনের একটি ঘটনাকে রোখা গেল। তাঁরা প্রতিবাদ না করলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সকলের অগোচরে মৃতদেহ নামিয়ে নিয়ে চলে যেতেন। তার পর এটা আত্মহত্যা না অন্য কিছু তার প্রমাণ পাওয়া যেত না। এ সব ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতি আবশ‍্যক। কিন্তু সেটা না করে তাঁরা অ্যাম্বুল‍্যান্স নিয়ে এসে মৃতদেহ কেন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন? এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”

একজন এলাকাবাসী বলেন, “এত বড় একটা বহুতল। কোন সিসিটিভি নেই। রেজিস্টার নেই। নানা সময়ে নানা রকম বেনিয়মের অভিযোগ। আমরা এলাকাবাসী পুলিশের সঙ্গে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। মহিলার শরীরে কালসিটের দাগ রয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হল তা তদন্ত করা উচিত।”

আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “এখানে প্রতি দিন রাতভর নানা ধরনের ব্যক্তির যাতায়াত। আজকে বহুতল থেকে আবাসিকদের সকলকে যখন সরিয়ে দেওয়া হয় তখন এলাকাবাসী প্রশ্ন করলে তাঁদের ভুল বোঝানো হয়। স্থানীয়েরা যখন তাঁদের আটকে দেয় তখন তাঁরা এখান থেকে পালিয়ে যান। সেই কারণেই আমাদের বিরোধিতা।”

Related Articles