
The Truth of Bengal: নাব্যতা না থাকলেই থমকে যায় গতি। একেবারেই চলাচল করতে পারে না ভেসেল। এই সমস্যা মেটাতে পরপর কয়েকবছর মু়ড়িগঙ্গা নদীতে করা হয় ড্রেজিং। সংস্কারের সেই কাজেও হাল ফেরেনি। তাই এবার ভরা বর্ষায় মুড়িগঙ্গায় ভাটার সময় চলছে না ভেসেল। যাত্রীদের একমাত্র ভরসা ট্রলার। কাকদ্বীপ আট নম্বর ঘাট থেকে কচুবেড়িয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার নদী পথে এই সময়েও সমস্যার জট কাটছে না।
নদীতে ভাটা পড়লেই যাত্রীদের দুর্দশার শেষ থাকে না। ঘন্টার পর ঘন্টা কাকদ্বীপ নয়তো কচুবেড়িয়ায় বসে থাকতে হয় তীর্থ যাত্রী থেকে পর্যটক সকলকেই। জোয়ার এলে তবেই ট্রলার চলতে পারে। আবার সেই ট্রলার থেকে নেমেও কাদাজল পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে।কাদায় নাকাল হওয়ায় মনে জন্মায় ক্ষোভ।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জামা কাপড় গুটিয়ে সাগরের যাত্রীরা বাধ্য হন মুড়িগঙ্গার উপর দিয়ে ঝুঁকির চলাচল করতে। তারপরে এক কিলোমিটারের বেশি কাদা মাড়িয়ে একেবারে মুড়িগঙ্গা নদীর মাঝ বরাবর গিয়ে এক কোমর জলে নেমে ভুটভুটি করে নৌকা ধরতে হয় সাগরে যাওয়ার জন্য।
শুধু ছেলেরা এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তা নয়, মেয়েরাও একইভাবে পারাপার করছেন।গঙ্গাসাগরগামী মানুষের ফি বছরের যাতায়াতের সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র স্থায়ী বন্দোবস্ত করুক।বিশ্বখ্যাত তীর্থভূমির জলপথে যোগাযোগ বাড়াতে রাজ্য সরকার ক্রজ পরিষেবা সহ নানা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা লাগু করেছে।চেষ্টা করছে এই সাগরকে বিশ্ববাসীর চলাচলের সুগম করে তুলতে।এখন কেন্দ্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে এই মৌলিক সমস্যার সুরাহা হবে বলে আশা করছেন পর্যটন সংস্থাগুলো।
Free Access