রাজ্যের খবর

চাকরি হারাদের পাশে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

Minister Swapan Debnath stands by those who have lost their jobs

Truth Of Bengal: মনিরুল ইসলাম, পূর্ব বর্ধমান: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। এর ফলে রাজ্যের বহু স্কুল কার্যত শিক্ষকশূন্য হয়ে গিয়েছে।

কোথাও স্কুলের তালা খুলতে হচ্ছে শিক্ষককে, আবার কোথাও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঘণ্টা দিচ্ছেন, আবার কোথাও একমাত্র শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় তালা ঝুলছে স্কুলে। কোনও স্কুলে আবার একাধিক বিষয়ে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আবার কোনও শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হওয়ার মুখে বিজ্ঞান বিভাগ। ঠিক কত স্কুলে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তারই একটি ইঙ্গিত মিলেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রাথমিক হিসাবে।

স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নবম-দশম শ্রেণির ১২,৯৪৬ জন শিক্ষক, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ৫,৭৫৬ জন শিক্ষক, ২,৪৮৩ জন গ্রুপ সি কর্মী এবং ৪,৫৫০ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রভাব পড়তে পারে ৩,১২৫টি স্কুলে। নবম-দশম স্তরে পড়াতেন এমন শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের প্রভাব পড়তে পারে ৫,৪২৬টি স্কুলে।

এর পাশাপাশি গ্রুপ সি ও গ্রপ ডি কর্মীদের চাকরি যাওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে যথাক্রমে ২,২১৫টি এবং ৩,৮৮৫টি স্কুলে। তবে এমন হাজার হাজার স্কুল রয়েছে, যেখানে একাধিক শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। সেই চাকরি যাওয়ার প্রভাব ঠিক কত স্কুলে পড়েছে, সেই চূড়ান্ত সংখ্যাটা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা এপ্রিল মাসের বেতন পাবেন কি না, তা নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। বরখাস্তের নোটিস হাতে না পাওয়ায় আদালতের রায় শোনার পরও স্কুলে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। কিন্তু বেতন পাওয়া নিয়ে সংশয় তাঁদের মনে।

সাংবাদিক বৈঠকে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘বেতনের বিষয়টি বলতে পারব না। কমিশন নিয়োগকর্তা নয়। কমিশন বেতন দেয় না।’ ওই শিক্ষকদের বেতন নিয়ে স্কুলগুলিকে স্পষ্ট করে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেয়নি বিকাশ ভবন। একাধিক স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।

কাটোয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তবে সমস্ত দিকটা আইন মেনেই কাজ করবে।’ সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়ম অনুযায়ী কাজ হবে বলে জানান রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান, রাজ্য সরকার সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে চাকরি-হারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের।

Related Articles