রাজ্যের খবর

এক আঙিনায় মন্দির-মসজিদ সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র ‘সম্প্রীতি নগর’

Mandir Masjid

The Truth of Bengal: মন্দির ও মসজিদের মাঝে ব্যবধান মাত্র দশ ফুটের। সম্প্রীতি এখানে একে অপরকে আলিঙ্গনে বেঁধে রেখেছে। মসজিদে যখন আজান হয়, সেই আঙিনায় দুর্গামন্দিরে ঘণ্টা বেজে ওঠে। আজানের সুর ও পুজোর ঘণ্টায় আওয়াজে সম্প্রীতির এক অনুরণন তৈরি হয়। যা এলাকার মানুষকে অসহিষ্ণুতা ও বিদ্বেষ থেকে দূরে রেখেছে। দুই ধর্মের এই মিলন ক্ষেত্রের নাম সম্প্রীতি নগর। যা নামটি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের সেই সম্প্রীতি নগর আজ দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে। দুর্গোৎসব আর ইদ-মহরম উপলক্ষে এই মন্দির-মসজিদ ঘিরে জমে ওঠে মেলা। মন্দির-মসজিদের এমন সহাবস্থান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন জায়গাটি সাজিয়ে তোলার। নাম দিয়েছিলেন সম্প্রীতি নগর। দিঘা থেকে কিছুটা আগে প্রায় তিন একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে সেই পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে সম্প্রীতি নগরী। একদিকে জাগরণ সংঘের পুজো এবার ৮০তম বছরে পদার্পণ করেছে।

অন্যদিকে তয়তল মসজিদ ১০০ বছর বয়স পার করেছে।সম্প্রীতি নগরে একদিকে চলছে মসজিদ তৈরির কাজ। অন্যদিকে চলছে মন্দির তৈরির কাজ। ঠিকরা মোড়েই হবে সম্প্রীতি নগর লেখা বিশেষ তোরণ। ঠিকরার এই দুর্গা মন্দির ও মসজিদ ঘিরে ১৫-২০টি গ্রামের মানুষ সারা বছর মেতে থাকেন। প্রাচীন দুর্গা মন্দির ভেঙে নতুন স্থায়ী মন্দির নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। দিঘার পাশে এই জায়গায় সম্প্রীতি যে ভাবে কোলাকুলি করে তাতে কবির ভাষায় বলা যায়,।

Related Articles