বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতা, তড়িঘড়ি পাম অ্যাভিনিউে যেতে গিয়ে হাতে চোট মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata, saddened by Budhababu's death, injured her hand while running towards Palm Avenue.

The Truth Of Bengal: বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ২০মিনিটে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর প্রয়াণের কথা শুনে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকস্তব্ধ হয়ে যান। আচমকা খবর শুনে তিনি মানসিকভাবে জোর ধাক্কা খান। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণের খবরে তিনি শোকাহত হন। ‘‘মানসিকভাবে এই ঘটনা তিনি মেনে নিতে পারেন নি। তাই তাড়াতাড়ি কালীঘাট থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আসতে গিয়ে তিনি চোট পান। হাত দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। তবুও তিনি হাতে আঘাত নিয়েই পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ছুটে যান।’’ বুদ্ধদেববাবুকে শ্রদ্ধা জানাতেই তিনি যান বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউতে।
তাঁর সঙ্গে বুদ্ধবাবুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে ভালো ছিল, সেকথা শোকজ্ঞাপণের সময় তুলে ধরেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। এখন সেকথা বলার সময় নয়। ‘‘আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি। আগামিকাল রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে আমরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চাই। তিনি দীর্ঘ দিন বিধানসভার জনপ্রতিনিধি ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, একাধিক দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর মৃত্যু রাজ্যের পক্ষে বড় ক্ষতি।” বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন “ যত বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন, এটা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি ছিল। তাঁর মৃত্যুর বয়স হয়ত এখনও হয়নি। কিন্তু তাঁর শারীরিক সমস্যা ছিল, শ্বাসকষ্ট হত। আমি তাঁর পরিবারের সকলকে, তাঁর দলের সহকর্মীদের ও আমাদের প্রত্যেক সহনাগরিককে সমবেদনা জানাচ্ছি।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পুরও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুত্ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়ে যান, যাতে সুষ্ঠুভাবে শেষ কাজ সম্পন্ন করা যায়। সেজন্য সিপিএম নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মতো সহযোগিতা করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ঝাড়গ্রামে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আদিবাসীদের সেন্টিমেন্টের কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে যেতে হচ্ছে।