Malda: পাসপোর্ট-ভিসা থাকলেও মিলবে না ঘর! মালদহে বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘বয়কট’ হোটেল মালিকদের
যদি তাঁদের কাছে আগে থেকে ইস্যু করা বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসাও থাকে, তবুও তাঁরা এই পরিষেবা পাবেন না।
Truth of Bengal: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচার ও নৃশংসতার প্রতিবাদে কঠোর অবস্থান নিল মালদহ জেলা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এখন থেকে মালদহ শহরের কোনও হোটেলেই বাংলাদেশের নাগরিকদের ঘর দেওয়া হবে না। এমনকি যদি তাঁদের কাছে আগে থেকে ইস্যু করা বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসাও থাকে, তবুও তাঁরা এই পরিষেবা পাবেন না।
বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে সীমান্তবর্তী মালদহ জেলার সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। হোটেল মালিকদের আশঙ্কা, ওপারের অশান্তির সুযোগ নিয়ে কোনও দুষ্কৃতী বা জঙ্গি সংগঠন জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে হোটেলে আশ্রয় নিতে পারে। সেক্ষেত্রে বড়সড় কোনও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার কে নেবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। নিজেদের নিরাপত্তা এবং দেশের অখণ্ডতা রক্ষার্থেই তাঁরা এই ‘বয়কট’-এর ডাক দিয়েছেন।
মালদহ জেলা হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারি স্তরে কোনও নির্দেশ না থাকলেও, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে এবং ওপারে হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও হত্যার প্রতিবাদে তাঁরা নিজেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শহরের স্টেশন রোড এলাকার হোটেল মালিকদের দাবি, অনুপ্রবেশের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা বিশেষ করে বাংলাদেশি হিন্দু যুবক দীপু দাস হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
সাধারণত মালদহের মহদীপুর স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে প্রবেশ করেন। মহদীপুর হয়ে ভারতে ঢুকে তাঁরা মূলত মালদহ শহরের হোটেলেই রাত কাটান এবং পরদিন ট্রেন বা সড়কপথে গন্তব্যের দিকে রওনা হন। ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক এখানে আক্রান্ত হলে শহরের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে। সব মিলিয়ে, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এবং নিরাপত্তার খাতিরেই ওপার বাংলার নাগরিকদের জন্য আপাতত বন্ধ হল মালদহের হোটেলের দরজা।






