
The Truth Of Bengal : বাতিল হল মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করে সংসদের নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তদন্ত করে সংসদের এথিক্স কমিটি। চলতি অধিবেশনে শুক্রবার দুপুর ১২টায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করেন লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ বিজয় সোনকার। ওই রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সংসদে ওই রিপোর্ট পেশের পরই চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু হয়ে যায় বিরোধীদের মধ্যে। যার জেরে অধিবেশন দুপুর দুটো পর্যন্ত মূলতুবি হয়ে যায়। তবে অধিবেশন ফের শুরু হতেই মহুয়া ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বলেন, সংসদের মর্যাদাহানি হচ্ছে এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আধঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ওম বিড়লা।
স্পিকারের ঘোষণার পর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও সময় দেওয়ার আর্জি জানান। তৃণমূল সাংসদ কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেন স্পিকারের কাছে। যদিও দুই তৃণমূল সাংসদের কোনও কথা শোনেননি স্পিকার। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর হয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি, মণীশ তিওয়ারি সহ ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। মহুয়ার মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর সংসদের বাইরে গর্জে ওঠেন মহুয়া মৈত্র। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার শেষ দেখে তিনি ছাড়বেন। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভেতরে এবং বাইরে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। তিনি আরও বলেন, ‘মোদি সরকার যদি ভেবে থাকে, আমাকে এভাবে চুপ করিয়ে আদানি ইস্যু থেকে তারা মুক্তি পাবে, তা হলে তারা ভুল ভাবছে।’
মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ চলে যাওয়া নিয়ে মুখ্য খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্শিয়াং-এ তিনি বলেন, ‘ভোটে হারাতে না পেরে মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই কাজ করা হয়েছে। মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। হস্তক্ষেপ করা হয়েছে সাংবিধানিক অধিকারে।‘ মহুয়া মৈত্রের পাশে দল আছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা।
FREE ACCESS