রাজ্যের খবর

হেরিটেজ তারাশঙ্করের সূতিকাগৃহ! সংস্কারের দাবি সাহিত্যপ্রেমীদের

Tarasankar Bandyopadhyay

The Truth of Bengal: অনেক কৃতী সন্তান উপহার দিয়েছে বীরভূম জেলা। যাদের নাম এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। সেই বিখ্যাতদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩০৫ বঙ্গাব্দের ৮ শ্রাবণ লাভপুরের বাবুপাড়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এমন মানুষটির যে বাড়িতে জন্ম, সেই বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা হলেও এখনও সংস্কার হয়নি। সাহিত্যিকের পরিবার সহ এলাকার মানুষের দাবি, এবার সংস্কার করা হোক বাড়িটি। খুব শীঘ্রই বাড়িটি সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। বেশ কিছুদিন আগে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ১২৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে লাভপুরের মাটিতে।

লাভপুরের নাট্য সংস্থা দিশারী সংস্কৃতি চক্রের পাশাপাশি বীরভূম জেলা তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ, লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতি, লাভপুর ব্লক প্রশাসন ও বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত ভিটে ধাত্রীদেবতা প্রাঙ্গনে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে দিনটি। একাধিক কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে দিনটি। প্রশাসনের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিকরা। সেখানে সাহিত্যিকের জন্মভিটের সংস্কার নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১০ সালে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসতভিটে ধাত্রীদেবতা ও তাঁর সুতিকাগৃহটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরে ধাত্রী দেবতার সংস্কার হলেও আর সংস্কার হয়নি সুতিকা গৃহটির। বর্তমানে সেই সুতিকা গৃহটি ভগ্নপ্রায় দশা। যদি সেই সুতিকাগৃহ অবিলম্বে সংস্কার করা না হয় তা হলে এবার ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। তবে ব্লক প্রশাসক দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।

বাংলা সাহিত্যকে অনেক কালজয়ী সৃষ্টি উপহার দিয়েছেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ধাত্রীদেবতা’, ‘গণদেবতা’, ‘পঞ্চগ্রাম’, ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’। এইসব সৃষ্টি লাভপুরের তারাশঙ্করকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি দিয়েছিল। ধাত্রীদেবতার পাশাপাশি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুতিকা গৃহটিও আজ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পীঠস্থান হয়ে আছে। এই গৃহটিকে যদি এভাবে নষ্ট হয়ে যায় তা হলে সেটা বড় ক্ষতি। তারাশঙ্করের স্মৃতিরক্ষায় প্রশাসন দ্রুত এগিয়ে আসার আশ্বাস দেওয়ায় খুশি সাহিত্যপ্রেমীরা।

Related Articles