দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর বিপরীতে পদ্মের উপর বিরাজমান বিশাল বুদ্ধ, চলে আসুন থারপা চোলিং মনেস্ট্রি
Kanchenjunga in the distance and giant Buddha on a lotus opposite, come to Tharpa Choling Monastery

Truth Of Bengal: উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে বহু বৌদ্ধ মন্দির। যুগের পর যুগ ধরে বহন করে চলেছে নিজেদের ঐতিহ্য। দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর তার বিপরীতে পদ্মফুলের উপর বরাজমান বিশাল এক বুদ্ধ। যাকে মন থেকে স্মরণ করলে মনের সুপ্ত বাসনা পূরণ হয় খুব তাড়াতাড়ি।
ভেসে যাওয়া মেঘের মধ্যে দিয়ে উঁকি মারছে দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা। প্রকৃতির এই নৈসর্গিক দৃশ্যের মাঝে অবস্থিত এক বৌদ্ধ মনেস্ট্রি হল থারপা চোলিং মনেস্ট্রি। ঘুরছে প্রাথনা চক্র। যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী তারা এই মনেস্ট্রিতে এসে ঘুড়িয়ে থাকেন ভাগ্যের চাকা, থুরি প্রাথনা চক্র। ভাগ্যের চাকা বলার অর্থ এই প্রার্থনা চক্র ঘুড়িয়ে মনের সুপ্ত বাসনা ঈশ্বরের কাছে বললে সেই বাসনা অবশ্যই পূরণ হয় ভক্তদের। ঘাড় উঁচু করে দেখতে হয় বুদ্ধকে। হলুদ রঙের এই বুদ্ধ বিরাজমান পদ্মফুলের উপর। বুদ্ধের ঠিক সামনেই ফাঁকা পাহাড়ি অঞ্চল, যেখান থেকে দেখা যায় সবুজে ঘেরা উঁচু নিচু পাহাড়। শীতল হাওয়ায় মনেস্ট্রির আশেপাশের রঙিন পতাকা উড়তে দেখা যায়।
এই মনেস্ট্রিতে বহু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আনাগোনা। এখানে থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের জীবন কাহিনী খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করা যায়। এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রির দেওয়ালে আঁকা রয়েছে তব্বতিয় নকশা। যে নকশা গুলি গল্প বলার চেষ্টা করছে কিছু। এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রির ভিতরে সংগ্রহ করে রাখা রয়েছে বহু গ্রন্থ। রয়েছে একটি প্রার্থনা গৃহ। প্রার্থনার সময় বেজে যাওয়া ঘণ্টার আওয়াজ আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করবে। এই মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রিনপোচে দোমো গেশে গাওয়াঙ কালস্যাং নামে এক তিব্বতী ডাক্তার। ১৯১২ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এই মনেস্ট্রি। এই মঠ থেকে সামনের দিকে তাকালে দূরের মেঘ সরলে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া যায়।
কালিম্পং বাজার থেকে এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রির দূরত্ব ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। এখানে পাহাড়ি রাস্তার আঁকা বাঁকা পথ ধরে নির্জন পাহাড়ি পরিবেশে হেঁটে বেড়াতে বেশ ভালো লাগবে। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে এনজেপি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই বৌদ্ধ মনেস্ট্রিতে।