রাজ্যের খবর

টর্নেডোর তাণ্ডবে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি, এরই মধ্যে ভোট প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

Jalpaiguri, devastated by the tornado, is already campaigning for the election

The Truth Of Bengal : লোকসভা নির্বাচন দোরগড়ায় আসন্ন। তার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ব্যস্ত ছিল ভোট প্রচারপর্বে। কিন্তু টর্নেডোর তাণ্ডবে থমকে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচার পর্ব। আগামী ১৯শে এপ্রিল কোচবিহার আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে রয়েছে নির্বাচন। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার কোচবিহারে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর রবিবার জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের জন্য একই মন্ত্র থেকে ভোট প্রচারের জন্য জনসমাবেশ করবেন মোদি। পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার বালুরঘাটে সভার পর জলপাইগুড়িতে জনসমাবেশের কথা ছিল মোদির।

জানা যায়, ঝড়ের তাণ্ডবের কারণে বদলে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী কথা ছিল দুপুর আড়াইটে নাগাদ বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা আসনে প্রচার সম্পন্ন করার পর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ জলপাইগুড়িতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু ঝড়ের তান্ডবের কারণে সমস্ত পরিকল্পনা ভঙ্গ করে আপাতত রবিবার বালুরঘাটে কোন সভা করছেন না তিনি। তার পরিবর্তে ঝরে বিপর্যস্ত জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। জলপাইগুড়িতে ঝড়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স সানডে রে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজেপি নেতাকর্মীদের সেবা কাজে হাত লাগাতে উপদেশ দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সভা করতে পারেন তিনি। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সুচি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রাজ্য বিজেপির কাছে এসে পৌঁছায়নি।

প্রসঙ্গত, রবিবার কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি সহ বহু এলাকা। আর সেই দিনই কৃষ্ণনগরে সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল থেকে ফিরতে না ফিরতেই রাতে বিশেষ বিমানে করে জলপাইগুড়িতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে সোমবার সাত সকালে জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার কিছুক্ষণ পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও পৌঁছান আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। এমতাবস্থায় বালুরঘাটে নিজের কেন্দ্রে সুকান্ত মজুমদার থাকলেও জলপাইগুড়িতে উপস্থিত হননি তিনি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানান রাজনৈতিক তরজা।

Related Articles