রাজ্যের খবর

জঙ্গলমহলে বাড়তি তৎপরতা, সীমান্তবর্তী এলাকায় নাকা চেকিং

Jangalmahal Election

The Truth of bengal: আগে প্রায় প্রতিবার ভোটের সময় অশান্তি ছড়িয়েছিল জঙ্গলমহলে। অতীতের কথা মাথায় রেখে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাড়তি নজর জঙ্গলমহলে। সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে জেলা পুলিশ। ঝাড়গ্রাম জেলার সঙ্গে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দীর্ঘ সীমানা আছে। সেই সীমান্ত এলাকায় তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা পুলশি-প্রশাসন। ভোট উপলক্ষে বিশেষ নজর জঙ্গলমহলে। আগে প্রায় প্রতিবার ভোটের সময় অশান্তি ছড়িয়েছিল জঙ্গলমহলে। সেই কথা মাথায় রেখে এবারের লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করেছে জেলা পুলিশ।

রাজ্যের ঝাড়গ্রাম জেলার সঙ্গে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্ত যুক্ত রয়েছে। ওড়িশার সঙ্গে সীমান্ত আছে  ২৭ কিলোমিটার। ১২৭ কিলোমিটার সীমান্ত আছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের সঙ্গে। এই সীমান্তবর্তী এলাকায় দশটি নাকা পয়েন্টের ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৬টি নাকা পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়াও সারপ্রাইজ চেকিং-এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এই লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১৩০ থেকে ১৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সামাল দিতে তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন, এমনটাই জানিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার, অরিজিৎ সিনহা।

২০০০ সালের পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচনগুলি হয়েছে জঙ্গলমহলে, মাওবাদীদের লাল চোখের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতে হয়েছিল পুলিশ-প্রশাসনকে। মওবাদীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে বেলপাহাড়ি এবং লালগড়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয়েছিল ভোটের সময়য়। যদিও পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা ইতিবাচক হয়। ২০১০ সালের পর থেকে জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মাওবাদীদের আন্দোলন একেবারে স্তিমিত হয়ে যায়। এখন মাওবাদী তৎপরতা সে ভাবে চোখে না পড়লেও জেলা পুলিশ হালকা ভাবে নিচ্ছে না।

Related Articles