রাজ্যের খবর

পূর্ব বর্ধমানে স্ত্রীকে খুন করে দেহ ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখলেন স্বামী

Husband kills wife in East Burdwan and buries her body in the ground of their house

Truth Of Bengal: এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রাম। দুই নাবালিকা সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে শাবল দিয়ে খুন করেন স্বামী। পরে মৃতদেহ ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রেখে সেই ঘরেই কন্যাদের সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত ঘুমান বলে খবর। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেঝে খুঁড়ে লক্ষ্মী হাঁসদা (২৭)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত সোম হাঁসদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর সাতেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সোম ও লক্ষ্মী। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে—৬ বছরের সোনিয়া এবং সাড়ে ৩ বছরের রাখি। মঙ্গলবার সকালে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে আঘাত করেন সোম। ঘটনার সাক্ষী ছিল তাদের দুই মেয়ে।

অভিযুক্তের মা পানমণি হাঁসদা বলেন, “ছেলে প্রতিদিন মদ খেত এবং কাজকর্ম করত না। এ নিয়ে বৌমার সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত।’’ তিনি জানান, ঘটনার দিন সকালে বৌমাকে দেখতে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে সোম বলেন, ‘মার খেয়ে পালিয়েছে।’

তবে সন্ধ্যায় পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তালাবন্ধ ঘর থেকে দেহ উদ্ধার করে। ঘরের মেঝেতে ফাটল দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। খোঁড়াখুঁড়ির পরই পাওয়া যায় লক্ষ্মীর মৃতদেহ। মৃতার বড় মেয়ে পুলিশকে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয়। পুলিশ জানায়, সোম স্বীকার করেছে, শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে খুন করেছে এবং পরে ঘরের মাটির নিচে দেহ পুঁতে রেখেছে। এই নৃশংস ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো গ্রামে।

Related Articles