রাজ্যের খবর

আরজি কর কাণ্ডের পর কড়া নিরাপত্তায় হুগলি জেলা হাসপাতাল

Hooghly district hospital under tight security after RG tax case

Truth Of Bengal : হুগলি, রাকেশ চক্রবর্তী : দেশের সর্বোচ্চ আদালত আরজি করে সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।অন্য মেডিকেল কলেজ গুলোতেও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছে। জেলার হাসপাতাল গুলোতেও নিরাপত্তা বাড়াতে আন্দোলন শুরু হয়। জুনিয়ার চিকিৎসারা কর্মবিরতি শুরু করে। সিনিয়াররাও আইএমএ র ডাকে ২৪ ঘন্টার কর্মবিরতি করে ধর্না দেয়। মৃত চিকিৎসকের বিচারের দাবীর পাশাপাশি জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবীও করা হয়।

সেইমত হুগলি ইমামবাড়া হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।পুলিশ ক্যাম্পে থাকা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।রাতে উইনার্স টিম টহল চলছে দিচ্ছে।চন্দননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘুরে দেখছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের সুরক্ষায় অ্যাপ চালু হয়েছে।বিপদে পড়লে পুলিশকে ফোন করার নম্বর দেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনকারী চিকিৎসক পার্থ ত্রিপাঠি জানান,গত কয়েক দিনে নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তবে সব দাবী এখনো পূরন হয়নি।রাতে হাসাপাতালে পুলিশ টহল দিচ্ছে।স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই মহিলা।বিশেষত নার্স এবং চিকিৎসকরা।তাদের নাইট ডিউটি করতেই হয়।রাতে মহিলারা কাজ করবেন না এ ভাবনাটা অমূলক।
তাদের জন্য রেস্ট রুম করা হয়েছে।অবাঞ্ছিত লোকজন কিছু মদ্যপ রাত হলেই হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে।তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ইমামবাড়া হাসপাতালে সুপার অমিতাভ মন্ডল বলেন,হাসপাতালে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হয়েছে।ক্যাম্পে পুলিশ বাড়ানো হয়েছে।বর্তমানে চল্লিশটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে হাসপাতালে।আমরা হাসপাতাল করে দিতে চাইছি।সে কারণে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে আরও ৪০টি সিসি ক্যামেরা লাগবে।পুলিশ ছাড়াও হাসপাতালে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছে তারা পাহারা দেয়।পরিকাঠামোর জন্য আর যা প্রয়োজন তা রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে জানানো হবে। ইমামবাড়া হাসপাতাল ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল হোস্টেল।শেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Related Articles