রাজ্যের খবর

‘রক্তের ধর্ম হয় না’! মুসলিম গৃহবধূকে রক্তদান হিন্দু পুলিশের

Hindu police donating blood to Muslim housewives

Truth Of Bengal : পূর্ব বর্ধমান : মনিরুল ইসলাম : প্রসববেদনা উঠেছিল তরুণীর। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা একেবারেই কমে গিয়েছিল। ফলে জরুরি ভিত্তিতে ওই মহিলার রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে তাঁর গ্রুপের রক্ত না থাকায় বিপাকে পড়েন পরিজনেরা। রক্তের অভাবে আটকে ছিল মহিলার প্রসবকালীন অস্ত্রোপচার। বিষয়টি জানতে পেরে তৎপর হন কেতুগ্রাম থানার এ এস আই পুলিশ আধিকারিক বিনয় কুমার ঘোষ।

কাটোয়া মহাকুমা, হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে ওই প্রসূতিকে রক্ত দিলেন পুলিশ। কেতুগ্রাম থানার কাঁচড়া গ্রামের নার্গিস খাতুনের তাঁর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল। শীঘ্র ‘এ পজিটিভ’ গ্রুপের রক্তের দরকার পড়ে। হাসপাতাল থেকে রক্তের জন্য বলা হয় পরিবারকে। এদিকে কোথাও রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নেমে যায় ৫.১-এ। বিষয়টি জানতে পারেন কেতুগ্রাম থানার এ এস আই এগিয়ে আসেন। প্রসূতির আত্মীয়েরা কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশ আধিকারিককে। এক

পরিজন বলেন, ‘‘পুলিশকে দেখলেই আমরা ভয়ে থাকি। কিন্তু পুলিশের মধ্যে যে একটা মানবিক রূপ বেঁচে রয়েছে, আজ চাক্ষুষ করলাম। উনি দেবদূতের মতো হাজির হয়ে মা ও গর্ভস্থ শিশুর প্রাণ বাঁচালেন।’’ পুলিশ অফিসার বলেন। হঠাৎ খবর পেলাম জাহির শেখ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এক জন প্রসূতির আমার গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন। তাই ব্যস্ত থাকলেও নিজেই গাড়ি

চালিয়ে ছুটে এসেছি তবে পুলিশ অফিসার বিনয় কুমার ঘোষ জানান রক্তের কোন ধর্ম হয় না আমি এটা নিয়ে ২৮ বার রক্ত দিয়েছি এছাড়াও যেকোনো সময় মানুষের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করব আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি মুসলিম গৃহবধূকে আজ রক্ত দিয়ে দু দুটি প্রাণ বাঁচালো

Related Articles