রাজ্যের খবররান্নাঘর

নিষিদ্ধ খোকা ইলিশ ধরা! মাথায় হাত মৎসজীবীদের

Hilsa Fish Catching Guideline

The Truth of Bengal: মরসুম শুরু হয়ে গেলেও ইলিশের (Hilsa Fish) তেমন দেখা পাচ্ছেন না মৎস্যজীবীরা। জালে ধরা পড়ছে খোকা ইলিশ। যে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। ছোট সাইজের ইলিশ ধরা থেকে যাতে বিরত থাকেন মৎস্যজীবীরা, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। সচেতন করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। প্রজননের জন্য দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে সমুদ্রে। এই সময় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে যেতে পারেন না। গত ১৫ জুন উঠে যায় ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। পরদিন থেকে সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারবেন মৎস্যজীবীরা। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে হাজার হাজার ট্রলার ইলিশের খোঁজে পাড়ি দেয় মাঝ সমুদ্রে। সেই ট্রলারগুলি এখন ফিরতে শুরু করেছে। তবে তেমন ইলিশ আনতে পারেননি মৎস্যজীবীরা। ছোট সাইজের সামান্য কিছু ইলিশ ধরা পড়েছে। যার ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করে বাচ্চা ইলিশ ধরছেন। আর যেগুলি এখন বাজারে রমরমিয়ে বিক্রিও হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৬০ মিলিমিটারের কম ফাঁসের জাল ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করে এই ইলিশ ধরছেন। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে কত মিলিমিটার ফাঁসের জাল ব্যবহার করা যাবে।

এই বিষয়ে কাকদ্বীপ ওয়েলফেয়ার ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, হাতেগোনা বেশ কিছু অসাধু মৎস্যজীবীর জন্যই প্রত্যেকের বদনাম হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বহু আয়োজন করে প্রতিবছর সমুদ্রে পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। গত কয়েক বছর তেমন ইলিশ পাননি মৎস্যজীবীরা। সমুদ্র থেকে তাদের কার্যত ইলিশ ছাড়াই ফিরতে হয়েছিল। যার জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকরা। তাই অনেক মৎস্যজীবী খোকা ইলিশ ধরে আনছেন। এমন চলতে থাকলে একদিন ইলিশ শূন্য হয়ে পড়তে পারে সমুদ্র। সেইজন্য মৎস্যজীবীদের সতর্ক কোর্টে প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন।

Related Articles