বন্যা আতঙ্কে রাত কাটছে ঘাটালবাসীদের! বিশ বাঁও জলে মাস্টারপ্ল্যান
Ghatal Master Plan

The Truth of Bengal: প্রতি বছর বর্ষা এলেই বানভাসি হন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দারা। প্লাবন থেকে রক্ষা পেতে বাম আমলেই একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। কিন্তু বছর ঘুরে কয়েক দশকের পর দশক কেটে গিয়েছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রয়ে গিয়েছে সেই হিমঘরেই। প্রতি বছর বর্ষায় শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভেসে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফি বছর এলাকার বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয় ত্রাণ শিবিরে, প্রতিবেশীর পাকা বাড়ির ছাদে। রাত-বিরেতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অন্যত্র যেতে হলে, পাহাড় সমান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
৩৯ বছর হয়ে গিয়েছে, রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী প্রভাস রায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। সেই শিলা বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে রেয়েছে। তবু এখনও ভেসে যায়নি বানে। স্থানীয়দের অভিযোগ কেন্দ্রের বঞ্চনার জেরেই এই দুরাবস্থা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করার পরিকল্পনা ছিল। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসরকার থেকে স্থানীয় সাংসদ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্র সরকার শুধু বাহানা করছে।
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ফাইনান্স কমিটিতে বিষয়টি গিয়েছে, অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। সূত্রের খবর, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য প্রথমে বাজেট ঠিক হয় ২,২০০ কোটি টাকা। কিন্তু গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিটির হস্তক্ষেপে, বাজেট কমে দাঁড়ায় ১,২৪০ কোটি টাকায়। কথা ছিল, ৭৫ শতাংশ ব্যয়ভার নেবে কেন্দ্র। বাকি দেওয়া কথা রাজ্যের। পরে নিয়মে বদল আনা হয়, কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকেই দিতে হবে পঞ্চাশ শতাংশ করে। তবে আসল জট কবে কাটবে, তা কেউই জানেন না।