বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেলেন ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে
Get free electricity by registering for the 'Hasir Alo' project

Truth Of Bengal: দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ পরিষেবা। অন্ধকারে দিন কাটাতে হয় ৫৮ বছর বয়সি কৃষ্ণা সরকারের পরিবারকে। এবার ‘হাসির আলো’ প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করে বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পম্পা রাজবংশী, নিজেও একজন তাঁত শ্রমিক।
পুরসভা নির্বাচনে তিনি এলাকার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর থেকেই তাঁর ওয়ার্ডের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে সমস্ত খোঁজখবর রাখেন। কার কী অবস্থা, কার হাড়ি চড়ছে না, কার পরিবারে টাকার অভাবে পড়াশুনা হচ্ছে না, সবই তাঁর নখদর্পণে। কৃষ্ণা সরকারের পরিবারের পরিস্থিতি জানার পরই তিনি সেই সমস্যা জানিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্বকে। সেই মোতাবেক নবমতম দুয়ারে সরকার পরিষেবার ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানো হয়। প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতেই হাতে গোনা কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষ্ণা সরকারের বাড়িতে পৌঁছে গেল বিদ্যুৎ পরিষেবা। স্বভাবতই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় ‘হাসির আলো’ প্রকল্পে বিদ্যুৎ পরিষেবা পেল এক হতদরিদ্র পরিবার।
ওয়ার্ডের কাউন্সিলর-সহ জেলা নেতৃত্বর এই তৎপরতায় হাসি ফুটেছে দরিদ্র পরিবারটির মুখে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব জয়ন্ত ঘোষ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবার সমস্ত কিছু করে দেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পম্পা রাজবংশী জানিয়েছেন, দরিদ্র পরিবারটি এখনও আবাস যোজনার ঘরের তালিকা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আগামী দিনে ওই পরিবারটি যাতে আবাস যোজনার ঘর পায় তার ব্যবস্থা দ্রুত করবেন তিনি।
২০২০ সালে ‘হাসির আলো’ প্রকল্প শুরু করে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলি নিখরচায় বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্প চালু হওয়ার পর ইতিমধ্যেই এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। এই প্রকল্পের অধীন থাকা গ্রাহকরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিট অবধি বিদ্যুৎ একেবারে বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, প্রায় ৩০০ টাকা সাশ্রয় হয় তাঁদের। তবে ০.৩ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মিটারের ক্ষেত্রেই এই প্রকল্প প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই বিপিএল তালিকাভুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ যাঁর নাম বিদ্যুতের কানেকশন তাঁর বিপিএল রেশন কার্ড থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির ওপর থেকে বিদ্যুতের বিলের বোঝা কমানোর জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।