
The Truth of Bengal: গত কয়েক বছর নদী ভাঙন বেড়েই চলেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। সেই ভাঙন এখন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকাল এলেই দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে এখন বিঘের পর বিঘে চাষের জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীবক্ষে। ভিটেমাটি ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে কয়েকশো পরিবারকে। শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছিলেন তাদের এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবেন।
সেইমতো বেশ কয়েক মাস আগে শুরু হয় নদী ভাঙন প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ের কাজ। ধাপে ধাপে সেই কাজ শেষ হয়েছে। আবার শুরু হল ভাঙন প্রতিরোধ কাজ।নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নতুনগ্রাম এবং চৌধুরিপাড়া এলাকায় ১২০০ মিটার নদী পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হল। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীর উদ্যোগে এই কাজ শুরু হল। বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী জানান, এই কাজ চলবে ৫৪৫ দিন ধরে।
প্রথম পর্যায়ে এখন বালির বস্তা ফেলে কাজ শুরু হল পরবর্তীতে বিভিন্ন পর্যায়ক্রমে পাকাপোক্তভাবে এই নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ সম্পন্ন হবে। এবার এই নদীর পাড় বাধানোর কারণে এলাকার অনেকটাই উপকৃত হবেন। এমনটাই আশা করছে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। এদিনের এই নদীর পাড় বাধানোর কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। উপস্থিত ছিলেন হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীরেন মাহাতো এবং পঞ্চায়েতের একাধিক আধিকারিকরা।