উদ্ধার নিখোঁজ নাবালিকার নিথর দেহ! গ্রেফতার ১, ফুঁসছে কানাইপুর

Truth Of Bengal: ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার মৃত কিশোরীর দেহ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। গত মঙ্গলবার বিকাল চারটে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কানাইপুরের বছর তেরোর এক কিশোরী। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই কিশোরীর পড়শি যুবক অসীম মজুমদার তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবার ও পাড়া পড়শির দাবি, ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবক মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে জানায় কিশোরীকে মেরে পুঁতে দিয়েছে সে।

এই ঘটনার পর থেকে ওই যুবক বেপাত্তা হয়ে যায়। তাঁর খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিশোরীর খোঁজে পুলিশ কুকুর আসে ঘটনাস্থলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ন’পাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার নিথর দেহ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কানাইপুর ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা। পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, খুন ও ধর্ষণে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ডানকুনির খরিয়াল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি থেকে দূরে ন’পাড়ার রবীন্দ্রপল্লি এলাকার একটি বাঁশঝোপের পাশ থেকে দেহ উদ্ধার হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তৎপরতা ছিল পুলিশের। ডগ স্কোয়াড নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা এলাকায় শুরু করেন তল্লাশি। চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস, আইসি উত্তরপাড়া অমিতাভ সান্যাল সহ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা কানাইপুরে তদন্ত প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। স্নিফার ডগ অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে যায় প্রথমে। সেখান থেকে নাবালিকার বাড়িতে। কানাইপুর কলোনি হরিসভা শহিদ বেদী হয়ে কন্যা বিদ্যাপীঠ স্কুলের পিছনে একটি পুকুরপারে গিয়ে থমকে যায়। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজার পাশাপাশি জাল ফেলে খোঁজা হয়। অবশেষে খোঁজ মেলে ওই নাবালিকার। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।