রাজ্যের খবর

প্রাক্তন সাংসদকে বহিষ্কার, মহিলা নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর সিদ্ধান্ত সিপিএমের

Former MP Bansagopal Chowdhury expelled, CPM takes strict decision based on complaint of female leader

Truth of Bengal: আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক সিপিএম নেত্রী। গত কয়েকদিন ধরে গোটা বিষয়টি একটা নতুন মাত্রা পাচ্ছিল।এই অভিযোগেই শেষ পর্যন্ত সিপিএম জমানার মন্ত্রী তথা আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।মুর্শিদাবাদের এক মহিলা নেত্রীকে সমাজমাধ্যমে নানা কুরুচিকর বার্তা দেওয়ার অভিযোগ ছিল বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যা কার্যত ‘ভার্চুয়াল যৌন হেনস্থা’ হিসাবে অভিযোগ এসেছিল সিপিএমের কাছে। তার ভিত্তিতেই দলীয় স্তরে তদন্ত করে বংশগোপাল চৌধুরীকে বহিষ্কারের পথে হাঁটল সিপিএম।

জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলির ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের সময়েই এই নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল। তার পর দু’মাস যেতে না যেতেই তা সমাজমাধ্যমে দাবানলের আকার নিয়েছে। আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের এক সিপিএম নেত্রী। তারপর থেকেই বংশগোপাল চৌধুরীর ঘটনাটি নতুন মাত্রা পাচ্ছিল। রবিবার ছিল বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। তা শেষ হওয়ার পর থেকেই নানাবিধ স্ক্রিনশট, অডিয়ো ক্লিপ সমাজমাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে (যদিও বেঙ্গল মিরর ঐস্ক্রিনশট এবং অডিয়ো ক্লিপগুলির সত্যতা যাচাই করেনি )।

অভিযোগকারিণী ঐ সিপিএম নেত্রী জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘‘একটি সংগঠনের বিষয়ে আমাকে তথ্য দেবেন বলে বংশগোপাল চৌধুরী জানিয়েছিলেন। সেই তথ্য না পেয়ে আমি তার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। পরবর্তী কালে উনি আমাকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন। সেখানেই শেষ নয়। মুর্শিদাবাদের ঐ মহিলা নেত্রীর আরো অভিযোগ, “জেলায় দলের যে মুখপত্র রয়েছে, আমি তার সঙ্গে যুক্ত। সাংবাদিকতা বিষয়টি আমার মধ্যে রয়েছে। তাই আমি বংশগোপাল চৌধুরীকে আমার হোয়াট্‌সঅ্যাপ নম্বর দিয়েছিলাম। বুঝতে চেয়েছিলাম, উনি কি ক করতে পারেন। তার পরেই সেখানে তিনি আমাকে মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন।’’

অভিযোগকারির আরো দাবি যে, গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি জেলা সিপিএমকে অভিযোগ আকারে সমগ্র বিষয়টি জানিয়েছিলেন। দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির কাছে বিষয়টি পৌঁছেছিল। তার পর সব খতিয়ে দেখে বংশগোপাল চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের তরফে বংশগোপাল চৌধুরীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত জানানো হবে বলে জানা গেছে। রাজ্য সিপিএমের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেন, আমরা কোনওদিনই এই ধরনের ঘটনাকে দলের মধ্যে প্রশ্রয় দিইনি। ভবিষ্যতেও দেব না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের লোকসভা, বিধানসভায় আসন থাক বা না থাক এই ধরনের প্রবণতাকে আমরা প্রশ্রয় দেব না। কিন্তু এরাই পরে তৃণমূল বিজেপির সম্পদ হয়ে উঠবে না তো?” বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সিপিএমের সূত্রে জানার পর বংশগোপাল চৌধুরীর সঙ্গে বেঙ্গল মিররের তরফে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাই তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে, গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

Related Articles