রাজ্যের খবর
Trending

বিস্ফোরক: ‘হাত দিতে গেলেই কেউটের ছোবল’ – কেন বললেন বর্ধমানের চেয়ারম্যান?

Explosives: 'When you give a hand, Keut's shot' - why did the Chairman of Burdwan say?

The Truth Of Bengal: অবৈধ হকার ও জবর দখল রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা সহ জেলায় জেলায় অবৈধ দখলদারি বন্ধ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রঙ দেখে কাজ না করতে। জবর দখল চলবে না স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। ফুটপাথ, জমি দখল, পুকুর ভরাট, সরকারি জমি বেদখল কোনক্ষেত্রেই অনিয়ম বরদাস্ত নয়, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদি কারোর মদতে এসব অনিয়ম ঘটে থাকে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া নির্দেশের পর বর্ধমান পুরসভা এলাকাতেও শুরু হয়েছে বিশেষ তৎপরতা।

বর্ধমান শহরের বহু রাস্তা জবরদখল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ নাগরিকদের। বাইরে থেকে এসে বর্ধমান শহরে ফুটপাথ দখল করে বহু হকার ব্যবসা করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন খোদ বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র দাস। এই নিয়ে তিনি নিশানা করলেন কিছু মদতদাতার দিকে। যারা বিভিন্ন রকম অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। সেইসব প্রভাবশালীদের নিশানা করে পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে কাজ করাই ভীষণ কঠিন হয়ে উঠেছিল। যেখানেই হাত দিতে যাওয়া হয় কেউটের ছোবল খেতে হবে’। কেউটেরা ছোবল দেওয়ার জন্য তৈরি। তবে এবার তাদের সেই ছোবল বন্ধ হতে চলেছে। অনৈতিক কাজে মদত দিলে আর রেহায় নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বর্ধমান শহরে অবৈধ হকার রুখতে কড়া পদক্ষেপ শুরু হয়ে গিয়েছে। জবরদখলকারীদের চিহ্নিতকরণ চলছে। সেই সঙ্গে বৈধ হকারদের তালিকাও তৈরি হচ্ছে। জোর করে জায়গা দখল করলে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। আর এই কাজে কেউ ইন্ধন দিলে বা অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অবশ্য চেয়ারম্যান মনে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে দিশা দেখিয়েছেন সেই পথে এবার শহরের সৌন্দ্যর্যায়ন ফিরিয়ে আনা হবে।

Related Articles