ডিজিটাল যুগে কমছে গ্রিটিংস কার্ডের ব্যবহার, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের
Exchange of greetings through digital medium, use of greetings cards is decreasing

Truth Of Bengal: শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়ের চিরাচরিত প্রথা ডিজিটাল যুগে মার খাচ্ছে। গ্রিটিংস কার্ডের বেচাকেনা সেভাবে না হওয়ায় বিক্রেতারা বেশ হতাশ। ইতিহাস বলছে,প্রাচীন চিনে প্রথম গ্রিটিংস কার্ডের সূচনা হয়। এমনকি মিশরেও সেই প্যাপিরাসের স্ক্রোল করা গ্রিটিংস কার্ড সারা দুনিয়ার কাছে নজির তৈরি করেছে। পঞ্চদশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরোপে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের পদ্ধতি প্রিয়জনদের সম্পর্কের কাজে বড় ভূমিকা নেয়। ১৮৪৩সালে ইংল্যান্ডে প্রথম ক্রিসমাস কার্ডের প্রচলন শুরু হয়। হাজার-রঙিন কপি লন্ডনে বেজায় বিক্রিবাটা হচ্ছে। ১৯শতকের মাঝামাঝি নিউইয়র্কের আলবানিতে ফেন্সির মন্দিরের পিস গ্রেট ভ্যারাইটি স্টোর থেকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাপত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন।
একুশ শতকে ডিজিটাল কানেকশন যত বাড়ছে, বং কানেকশন যত ছড়িয়ে যাচ্ছে ততই সেকেলে প্রথায় শুভেচ্ছা বিনিময় পদ্ধতি হারিয়ে যেতে বসছে। মনে বসন্ত এলে বা হৃদয় তোলপাড় হলে আগে এই গ্রিটিংস কার্ডই বাজারে দেদার বিক্রি হত। নিউ জেনারেশন থেকে জেন এক্স, সবার কাছেই বার্তা বিনিময়ে এই গ্রিটিংসই রঙিন সম্পর্কের বাহার বাড়াতো। স্মার্ট যুগে এই স্মার্ট ব্যবস্থা কোপ বসাচ্ছে গ্রিটিংসের কারবারীদের জীবন-জীবিকায়।
কেন এই গ্রিটিংস কেনার চল কমছে ? আসলে, সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা শিথিল হচ্ছে। দূর থেকেই শুভেচ্ছা বিনিময়ের ইচ্ছেপূরণ করছে আমজনতা। জেন-জেডও তাই চিরাচরিত প্রথায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের পথ ছেড়ে ফেসবুক-ট্যুইটারকে আঁকড়ে ধরছে। সমাজমাধ্যমে সামাজিক সম্পর্কের বুনোন ধরে রাখার চেষ্টা আসলে নব প্রজন্মকে অভ্যস্ত করে তুলছে।
গ্রিটিংস কার্ডের ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ঐতিহ্যের কার্ড একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার সহজ-সুযোগ একসময়ের এই হৃদয়গ্রাহী প্রথাকে অবলুপ্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। একসময় ছোটদের জন্য থাকত মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, মোগলির কভার দেওয়া কার্ড। পরবর্তী সময়ে বেন টেন, মোটু পাতলু সহ অন্যান্য কার্টুন চরিত্ররা উঠে এসেছিল কার্ডে। কিন্তু এখন সেসবও অতীত।