
The Truth of Bengal: শুধু জেলা নয় রাজ্যর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে মালদার কালিয়াচকের রেশম চাষ। পোলুপোকা থেকে রেশম উৎপাদন সহ যাবতীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত কালিয়াচক সহ মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক লক্ষ মানুষ। এই জেলার রেশম পাড়ি দেয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী বিদেশেও যায়। সেই রেশম চাষ ও রেশম সুতো উৎপাদনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। রেশম বিভাগের আধিকারিক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তিনি রেশম চাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাঁদের নানা অভাব-অভিযোগ ও সমস্যার কথা।
রেশম চাষিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার এবং এলাকার মন্ত্রী হিসেবে তিনি কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই কথাও জানান সকলকে। রেশম শিল্পের মানচিত্রে কালিয়াচকের রেশম শিল্পকে বিশিষ্ট স্থানে জায়গা করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও এদিন সাবিনা এলাকাবাসীকে জানান। মালদা জেলার রেশম চাষ অধ্যুষিত এলাকায় বহুমুখী প্রকল্প চালু রয়েছে। তুত পাতা উৎপাদন, পলু পোকা চাষ এবং রেশম শিল্পের উন্নয়নে এই জেলা বিশেষ করে কালিয়াচকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে এখানকার চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের মাঝেমধ্যে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই রেশম সুতো তৈরি থেকে নানা প্রকল্পে রাজ্য রেশম বিভাগ অর্থ মঞ্জুর করেছে। সেই অর্থে এলাকায় শুরু হয়েছে উন্নতমানের রেশম উৎপাদনের কাজ। সেই কাজের অগ্রগতি কেমন হয়েছে তা এদিন খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন সহ রেশম বিভাগের কর্তারা। রেশম শিল্পের উন্নয়নে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের ভূমিকায় খুশি কালিয়াচকের রেশমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।