
The Truth of Bengal: এমএ পাশ ডিগ্রি হাতে নিয়ে বসছেন একাধিক চাকরি পরীক্ষায়। কিন্তু, এখনও কোনও চাকরি মেলেনি। তাই চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বসে থাকতে চান না। পারিবারিক পেশা মৃৎশিল্প। সেই পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন মালদার সাহাপুরের কৌশিক পাল। এম পাশ যুবক গড়ছেন দুর্গা প্রতিমা। বাবা বিখ্যাত মৃৎশিল্পী। অসুস্থতার জন্য এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। পরিবারের অনটন দূর করতে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য মেনে বাবার সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছেন কৌশিক।
এই বছর একাধিক বড় বড় ক্লাবের প্রতিমা তৈরি করছেন। বায়না নেওয়ার পর থেকে চলছে কাজ। এখন ব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ।ছোট থেকেই পড়াশোনার ফাঁকে অল্প অল্প করে কাজ শেখা বাবার কাছে। ইচ্ছে ছিল প্রতিমা তৈরির কাজ করার। পড়াশোনার জন্য তা হয়ে ওঠেনি। সংস্কৃত নিয়ে এমএ পাশ করে এখন ইচ্ছা শিক্ষকতা করার। যতদিন না শিক্ষক হতে পারছেন ততদিন শখের মৃৎশিল্পী হিসেবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন কৌশিক।
পুরাতন মালদার সাহাপুরের বাসিন্দা বিমল পাল একজন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী হিসেবে পরিচিত। সেই বাবার কাছে প্রতিমা তৈরির শিল্পকলা শেখা। চাকরি পেয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লেও কৌশিক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান বংশের পরম্পরা। ছেলেকে কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাই বাবা বিমল পাল চাইছেন একটি চাকরি। বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন ছেলের কাঁধেই দায়িত্বভার পড়েছে বেশি। তবে প্রতিমা তৈরির ফাঁকে নিয়মিত চলছে চাকরির প্রস্তুতি।
Free Access