রাজ্যের খবর

উচ্চমাধ্যমিকে নবম স্থান অধিকার সায়কের, পড়ুয়াদের উদ্দেশে কী বার্তা দিলেন জানেন?

Do you know what message Sayak gave to the students, who secured ninth place in the Higher Secondary Examination?

Truth Of Bengal: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যজুড়ে নবম স্থান অধিকার করল হুগলির রামলাল একাডেমির ছাত্র সায়ক বিশ্বাস। মেধা, অধ্যবসায় আর একাগ্রতার নিখুঁত মিশেল যেন এই ছাত্রটি। বরাবরই পড়াশোনায় ভাল, তবে মাধ্যমিকে অল্প কিছু নম্বরের জন্য রাজ্য তালিকায় স্থান না পেলেও, এবার উচ্চমাধ্যমিকে সেই আক্ষেপ মিটিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছল সে।

সায়কের বাড়ি চণ্ডীতলা থানার অন্তর্গত পালপাড়া এলাকার পশ্চিম দিকে, লোকনাথ ভবনের পাশেই। বাবা সুভাষ কুমার বিশ্বাস গুজরাটের একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ছেলের সাফল্যের খবর প্রথম শোনেন টিভির খবরে, সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করেন ছেলেকে। মা তাপসী বিশ্বাস একজন গৃহবধূ। মা-ছেলে থাকেন একসাথে, আর মা-ই ছেলের সর্বক্ষণের সঙ্গী ও প্রেরণা।

পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সায়ক রামলাল একাডেমিরই ছাত্র। শুরু থেকেই পড়াশোনার প্রতি তার ছিল প্রবল আগ্রহ। চারজন শিক্ষক থেকে প্রাইভেট টিউশন নিত সায়ক। পরিবারে পড়াশোনার আলাদা পরিবেশ না থাকলেও, নিজের চেষ্টাতেই সে এগিয়ে গিয়েছে। সায়কের স্বপ্ন, বড় হয়ে একজন ডাক্তার হয়ে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ইতিমধ্যেই সে নিট (NEET) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এবং ভাল ফলাফলের আশায় রয়েছে।

পড়াশোনাই সায়কের জীবনের মূল কেন্দ্র। তার ঘরজুড়ে শুধু বই, খাতা আর ল্যাপটপ। অবসরে ছাদে উঠে বল নিয়ে নিজেই খেলা করে একটু রিফ্রেশ হয়। পড়াশোনায় মনোযোগ হারালে এটাই তার একমাত্র বিনোদন।

নতুন প্রজন্মের পড়ুয়াদের উদ্দেশে সায়কের বার্তা, “যা পড়তে হবে, মন দিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই সাফল্য আসবে। Shortcut নেই, Regular Practice আর মনোযোগই আসল।”

সায়কের এই সাফল্যে খুশি গোটা এলাকা। অনেকেই তাকে দেখতে আসছেন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পড়াশোনা ছাড়া সায়ক অন্য কিছুতেই আগ্রহী নয়। মা তাপসী বিশ্বাস আবেগ ধরে রাখতে না পেরে বলেন, “ও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়, আমি শুধু একজন মা হিসেবে পাশে আছি। ওর স্বপ্নপূরণের জন্য সারাজীবন পাশে থাকব।”

Related Articles