
The Truth of Bengal: কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানোয় সমস্যায় পড়েছেন মাতৃযানের চালকরা।দূর-দূরান্তে গেলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।তাই হুগলির শ্রীরামপুরের চালকদের আবেদন,মানবিক পরিষেবার গতি বাড়াতে সবার আগে জ্বালানির দাম কমানো হোক। এগারোয় ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন মাতৃযান পরিষেবা।মূলতঃ প্রসূতি মায়েদের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই মাতৃযান বড় সহায়ক ভূমিকা নেয়।এই সমাজবন্ধু পরিষেবাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য সরকারের চেষ্টার কোনও খামতি নেই।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল-ডিজেল সহ সমস্ত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি করায় বেঁধেছে বিপত্তি। আগে যেখানে প্রতি লিটার ৪৬টাকা করে পেট্রোল মিলত,এখন সেখানে তা ১০৭টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই জ্বালানির জ্বালা তীব্রতর হওয়ায় সমস্যায় অন্যান্য গাড়ির মতোই মাতৃযানের চালকরাও। জনস্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবাও কেন্দ্রের কোপে ধাক্কা খাচ্ছে। তেলের দাম কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার মানবিক হোক,আবেদন করছেন হুগলির শ্রীরামপুরের মাতৃযানের চালকরা।
হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাতৃযান বা অ্যাম্বুলেন্সের মালিকরা এই পরিষেবা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।তাঁরা জানান প্রসূতি মায়েদের প্রসূতিকালীন অবস্থায় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাবার জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে এই পরিষেবা চালু করেছে। হুগলি জেলাতেও বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরিষেবার সুযোগ পান মায়েরা, এই অবস্থায় যদি এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রত্যন্ত গ্রামের প্রসূতিরা সব থেকে অসুবিধায় পড়বেন। তাই সবদিক ভেবে গ্যাসের মতো পেট্রোলের দাম কমাতে কেন্দ্র কবে সদয় হয় সেদিকেই তাকিয়ে মাতৃযানের চালকরা।তরুণ মুখোপাধ্যায়।