পশ্চিম বর্ধমানের হরিপুরের স্কুল চত্বরে ধস, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
Collapse in the school premises of Haripur in West Burdwan, residents panic

The Truth Of Bengal: পঃবর্ধমানের হরিপুরের স্কুল চত্বরে আবার ধস নামায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ধসের জেরে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুরের জল।ইসিএল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও কোনও কাজ করছে না বলে অভিযোগ।উপ-প্রধানের অভিযোগ,খনি থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ফলেই এই ধসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
ধসের আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না। বিপদের আশঙ্কায় কাঁটা গ্রামবাসীরা। ক্ষতিপূরণের দাবি এবং পুনর্বাসনের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্তরা ইসিএল আধিকারিকদের ঘিরে ধরে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছি ।এলাকায় ফাটলের ঘটনাতেও ইসিএল বা কেন্দ্রীয় সংস্থার কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।গতবছরের মতোই এবারও বারবার ধসের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাস দু’য়েক আগে হরিপুর হাটতলা সংলগ্ন একটি এম এস কে স্কুল চত্বরে ঘটে ধ্বসের ঘটনা । আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায় ।সেই আতঙ্কের রেশ এখনো কাটেনি স্থানীয়দের । এরই মাঝে ফের হরিপুর হাটতলা সংলগ্ন গোসাইতোলা মন্দিরের পাশে বড় পুকুরের জল শুকিয়ে যেতে বসেছে।পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের অভিযোগ,ভূগর্ভস্থ খনি থেকেই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা তোলার ফলে কখনও বিস্ফোরণ বা কখনও ধসের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে কয়লা তোলার জন্য মাঝেমধ্যেই খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো ঘটে। অভিযোগ, তার জেরেই খনি সংলগ্ন শীর্ষা গ্রামে একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। এই বিষয়ে আমলই দেয় না ইসিএল কর্তৃপক্ষ। অন্ডালে ইসিএলের খোলা মুখ খনি এলাকায় ধসের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল তা আগেও। সেবারও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বারবার জানালেও ইসিএল কর্তৃপক্ষ চোখ বুজে থাকছে।তাই ভূগর্ভের বিপদ ঠেকাতে এখনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন দলমত নির্বিশেষে মানুষ।
FREE ACCESS