খেলারাজ্যের খবর

সন্তোষ ট্রফি জয়ীদের নবান্নে সংবর্ধনা, চাকরির ঘোষনা মুখ্যমন্ত্রীর

Chief Minister welcomes Santosh Trophy winners in Nabanna

Truth Of Bengal: বৃহস্পতিবার নবান্নে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলার ক্রীড়ীবিদদের সংবর্ধনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, বাংলা দল ভারত সেরা হয়েছে। নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরেছেন। ভালো ট্রেনিং পেলে এরাই বিশ্বকাপ খেলবে। বেশিরভাগ সব গ্রামের ছেলে। আর্থিক বিষয় নিশ্চয়ই রয়েছে। স্পোর্টস ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে চাকরি দেওয়ারও ঘোষনা করেন তিনি।

সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, এটা শুধু ট্রফি নয় এটা বাংলার গর্ব। দেশের গর্ব। সবাইকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। আইএফএ কেও ধন্যবাদ জানাবো। আমরা বেশ কিছু একাডেমি তৈরি করেছি। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু দরকার আমরা করব। ৫০ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

চলতি বছরের সন্তোষ ট্রফির খেতাব জয় করল বাংলা দল। হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে কেরলকে ১-০ গোলে হারাল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। ফাইনাল ম্যাচে বাংলার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন রবি হাঁসদা। এই নিয়ে ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে খেতাব জয় করল বাংলা দল।

কেরল যে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ যা ভালমতই জানাতেন বাংলার অভিজ্ঞ কোচ সঞ্জয় সেন। তাই ৪-৩-৩ পদ্ধতিতেই দল সাজিয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে কেরল কোচ ৫-৪-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন। ম্যাচের প্রথম থেকেই দুই পক্ষ নিজেদের ঘর গুছিয়ে আক্রমণে আসার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ বক্সের কাছে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন দুই দলের ফরোয়ার্ডরা।

এদিন ম্যাচে দুই পক্ষই সমানতালে লড়াই করে মাঝমাঠের দখল নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। এবং কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি হয় না। ফলে একটা আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলতে থাকে বাংলা এবং কেরল দুই দলই। তবে আসল কাজটাই করতে পারলেন না কোনো পক্ষই। ফলে প্রথমার্ধের ম্যাচ শেষ হল গোল শূন্য ভাবেই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই প্রথমার্ধের মতোই আক্রমণ শানাতে দুই দল। কখনও ভান আবার কখনও বাম প্রান্ত ব্যবহার করে গোল করার মরিয়া চেষ্টা চালাতে বাংলা। কিন্তু কেরলের দুই সাইড ব্যাক এবং ডিফেন্ডার সজাগ থাকায় বাংলার আক্রমণ গুলো যেন কিছুতেই গোলে প্রমিত হচ্ছিল না। তবুও আক্রমণ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়নি সঞ্জয় সেনের দল। আর ক্রমাগত আক্রমণের ফলপ্রসূ হিসাবেই অবশেষে কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে গেল বাংলা দল।

ম্যাচের প্রায় অন্তিম লগ্নে এসে বাংলার হয়ে সেই জ্বলে উঠলেন রবি হাঁসদা। কেরল বক্সে উড়ে আসা একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন কেরলের ডিফেন্ডার। গোলের সন্ধানে ওত পেতে থাকা রবি গোল করতে কোনও ভুল করলেন না। তারপর আর কেরলের পক্ষে এই গোল শোধ করা সম্ভব ছিল না। ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গেই ২০২১-২২ মরশুমে কেরলের কাছে হারের মধুর বদলা নিয়ে জাতীয় ফুটবলে ৩৩ বার খেতাব জয় করে বাংলার ছেলেরাও প্রমাণ করে দিল তাঁরাও অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই। এবার তাদের উৎসাহ করতে পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles