সংস্কার করতে গিয়ে চন্ডীপুরের গ্রাম থেকে উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন স্তম্ভ
Centuries-old pillar recovered from Chandipur village

Truth Of Bengal: চন্ডীপুরে গড় গ্রামে প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো রুক্মিণী দেবীর মন্দিরে পূর্ব দিকে অবস্থিত রুক্মি নিকুণ্ড সংস্কার করার সময় আবিষ্কৃত হলো শতাব্দী প্রাচীর একটি স্তম্ভ। অনেক দিন ধরে চলছিল কয়েক বিঘা জুড়ে থাকা এই পুষ্করিণী সংস্কারের কাজ। চন্ডীপুর ব্লকের গড় গ্রামে প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরনো রঙ্কিণী দেবীর মন্দিরের পূর্ব দিকে অবস্থিত প্রাচীন রুক্মিণীকুণ্ড সংস্কার করা কালে আবিষ্কৃত হয়েছে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন একটি স্তম্ভ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চন্ডীপুর থানার অন্তর্গত ব্রজলালচক মৌজায়(গড়গ্রাম) রুক্মিণীদেবীর (প্রচলিত, রঙ্কিণীদেবী) মন্দিরের ইতিহাস অতি প্রাচীন। কথিত আছে, মালজেঠিয়াগড় বা মালঝাটা–এর প্রতিষ্ঠাতা রাজা রুক্ম, খ্রীষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রুক্মিণীদেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কান্যকুব্জ প্রদেশের বগলাপ্রসাদ মিশ্র বেদাচার্যকে আমন্ত্রণ করে আনেন দেবীর প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই থেকে রাজা রুক্ম প্রতিষ্ঠিত দেবী রঙ্কিণীদেবী নামে পরিচিত।
স্থানীয় ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী গবেষক শ্রী প্রদীপ কুমার জানা বললেন যে প্রাচীন ইতিহাস থেকে জানা গেছে এই মন্দিরের পূর্ব দিকে একসময় ছিল রাজপ্রাসাদ, ও দুর্গ – গড়বাড়ী।এছাড়াও এই জায়গার ঐতিহাসিক সাক্ষ্য বহন করে – কালিদহ পুকুর, কামানদীঘি,রুক্মিণীকুন্ড এবং মছলন্দী ভেড়া– যে জায়গায় প্রাচীন মালজেঠিয়ায় রথযাত্রা উৎসব প্রচলিত ছিল। বিগত একাদশ শতাব্দীতে অনন্তবর্মা চোড়ঙ্গদেব উড়িষ্যার কেশরী বংশের উচ্ছেদ করে অরঙ্গানগর পরগনার ব্রজলালচকের মালজেঠিয়াগড়ে এসে উপস্থিত হন।তিনি উড়িষ্যা থেকে পাথরখোদিত এক বিষ্ণুমূর্তি এনে এখানে স্থাপন করেন,যে মূর্তি এখনো এখানে রয়েছে। এই স্তম্ভ আবিষ্কারের স্থানীয় উৎসুক মানুষজন ভিড় করতে থাকে এলাকায়।