রাজ্যের খবর

কোন অঙ্কে সন্দেশখালির নির্যাতনের অভিযোগ তৈরি করে বিজেপি গেমপ্ল্যান কার্যকর করতে চায় ? কেন প্রশ্নের মুখে বিরোধীরা ?

BJP wants to implement the game plan by creating allegations of Sandeshkhali's torture

The Truth of Bengal: সন্দেশখালির ধর্ষণকাণ্ড সাজানোর জন্য  বিজেপি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্র করে। নির্যাতনের  জন্য মহিলাদের মগজধোলাই করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলবল। পশ্চিমবঙ্গের এই প্রান্তিক এলাকার মানুষকে নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলা করে। না,এই অভিযোগ কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বলছেন না। একথা ৩২মিনিট ৪৩সেকেন্ডের একটি ভিডিয়োয় বলতে শোনা গেছে খোদ সন্দেশখালির বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালকে ।গঙ্গাধর কয়াল এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমে তা অস্বীকার করেননি। বিজেপির নেতারা তাঁকে নিছকই কর্মী বলে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু দিনভর দেশ তোলপাড় হতেই সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতোই শমিক ভট্টাচার্য দাবি করছেন ভিডিয়ো সঠিক নয়।গঙ্গাধর কয়াল যে বিরোধী শিবিরের বড় নির্বাচনী অস্ত্র ভোঁতা করে দিয়েছে তা আর কারুর বুঝতে অসুবিধা নেই। এমনকি কথায় কথায় যে বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে,এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিজেপির রাজ্য নেতারা বড় মুখ করে নানা কথা বললেও অস্বীকার করতে পারছেন না গঙ্গাধর কয়াল বা জবা সিংয়ের নির্যাতনের অভিযোগ দায়েরের মতো ইস্যু নিয়ে।

অতীতেও বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার মিথ্যে তথ্য পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছিল।আসলে হাথরাস,উন্নাওয়ের মতো কলঙ্কিত ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিতেই এই চিত্রনাট্য সাজানো হয় বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে সোচ্চার হয়েছেন,তাঁর মতে, এটি পুরোটাই নাটক বিজেপির।আসল সত্যিকে আড়াল করতেই মিথ্যের বেসাতি করেছে গেরুয়া শিবির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োকে তুলে ধরে  সাংবাদ মাধ্যম থেকে বিবেকবাণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন,মাসের পর মাস যে ঘটনা বিজেপির হাতিয়ার ছিল তাই এখন বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়েছে।আসলে বাংলাকে ছোট করতেই এই নারী নির্যাতনের ঘটনা সাজানো হয় বলে অভিষেক মুখর হয়েছেন।

তৃণমূল কংগ্রেস যখন বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে বিজেপিকে বিঁধছে,তখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ,ঘটনা নিয়ে উত্তর দেওয়ার বদলে বাংলার নেতাদের আবারও জেলে ভরার হুমকি দিয়েছেন।নির্বাচনের জন্য বিরোধী শিবির জলঘোলা করতে গিয়ে  নিজেরাই রাজনীতির ঘূর্ণিপাকে আটকে গেছে। রাজ্যের  মানুষ এই বাংলার নারীসমাজকে নিয়ে অহেতুক মিথ্যে প্রচারের জবাব দেবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।  নাগরিকসমাজ বলছে,রাজনীতি থাক রাজনীতির জায়গায়। বাংলার নারীসমাজের সম্মান,মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে কোনওরকম  নিম্নমাণের রাজনীতি করা কখনই বাঞ্চনীয় নয়। মাত্র ২হাজার টাকার বিনিময়ে যে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করার মতো ঘটনা ভিডিয়োয় তুলে ধরা হয়েছে তাতে বিজেপির মুখ পুড়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের কথায় স্পষ্ট।  আসলে বিজেপি ৭০-৩০এর ভাগাভাগির অঙ্ক করতে এই সন্দেশখালিকে সামনে রেখে রাজনৈতিক ঘুঁটিও সাজায়। মেরুকরণের অস্ত্রেও তারা শান দেয়।কিন্তু সেই বিভাজনের তত্ব বাংলার রাজনীতির রসায়ানাগারে ব্যর্থ হলেও কেন বিজেপি শিক্ষা নিচ্ছে না তার জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। বছরের শুরু থেকে যে সন্দেশখালিকে ইস্যু করে বিজেপি সহ বিরোধীরা মাঠে নামে। দিল্লিতেও বিজেপির

Related Articles