বিজেপি পাততাড়ি গুটোতে শুরু করেছে,টাকা বিলিয়ে ভোটে জিততে চাইছেন,চড়া সুরে আক্রমণে মমতা
BJP has started sniping, trying to win elections by giving money, Mamata attacked in a loud tone

The Truth of Bengal: শুক্রবার মথুরাপুর সংসদীয় কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে রায়দিঘিতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় মমতা বিজেপিকে অপদার্থ বলে বলে কটাক্ষ করেন। তিনি অভিযোগ করেন,বিজেপি কাড়ি কাড়ি টাকা ছড়িয়ে ভোটে জিততে চাইছে। ঘাটালে বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৮লক্ষ টাকা। কোথাও বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে কোথাও আবার বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে মিলছে টাকা। আসলে বিজেপি কাজ না করে গ্যাসবেলুন ছেড়ে দিয়ে ভোটে জিততে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। একই সঙ্গে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কোথায় পার্থক্য তাও বুঝিয়ে বলেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে। তাঁর কথায় উঠে আসে,কর্মশ্রী প্রকল্পের কথা। তিনি জানিয়ে দেন,কেন্দ্র ১০০দিনের টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার ৫০দিনের কাজের ব্যবস্থা করবে।
একইসঙ্গে সুন্দরবনের মতো বিশ্বখ্যাত এই অঞ্চলের যোগাযোগ থেকে সামগ্রিক উন্নতির কথা তুলে ধরে বিরোধীদের ভোট না দিয়ে লড়াকু বাপি হালদারকে জেতানোর আহ্বান জানান।তাঁর তোপ,বিজেপি চাকরি দেয় না,চাকরি খায়, ওবিসিদের সংরক্ষণ তুলে দিতে চায়,ওবিসি –মুসলিম বিভাজন করে। তাই ২৬লক্ষ শিক্ষকের চাকরিখেকো বিজেপি ও সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ঘাসফুল প্রতীকে আস্থা রাখার আবেদনও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর পরিসংখ্যানে উঠে আসে উন্নয়নের নানা কাজকর্ম।তিনি আশ্বাস দেন,সুন্দরবনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে।
দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নে কী কী করা হয়েছে তার বিবরণও দেন মমতা।তিনি বলেন, ২০কোটি ম্যানগ্রোভ তৈরি করা হয়েছে। দুর্যোগ –ঝড় রুখতে রা্জ্য সরকার ফ্লাড শেল্টার তৈরি করেছে। সমুদ্রে যাঁরা মাছ ধরতে চান,তাঁরা সমুদ্রসাথী প্রকল্পে নাম লেখান। এই প্রকল্পে যেসময় কাজ থাকে না সেইসময় মত্স্যজীবীরা নগদ সাহায্য পাবেন। উল্লেখ্য, উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে রাজ্য সরকার রাজ্য বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পে ভাতা ঘোষণা করে। এপ্রিল ও মে মাসের জন্য ভাতা বরাদ্দ করা হয়। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দু’মাসে ১০ হাজার টাকা পাবেন এক জন মৎস্যজীবী।উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই বিরোধীদের চড়া সুরে বেঁধেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।