রাজ্যের খবর

চলন্ত ট্রেনে বিশ্বকর্মা পুজো পুজোয় মেতে উঠলেন নিত্যযাত্রীরা

Biswakarma puja

The Truth of bengal: বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছিল কাটোয়া লোকালের ৪ নম্বর কামরা। পুজোর সমস্ত আয়োজন ছিল। ট্রেনের কামরার মধ্যেই ঠাকুর রেখে পুরোহিত ডেকে সমস্ত আচার মেনে হল পুজো। ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে পুজো শেষে সবার জন্য খাবার প্যাকেটের ব্যবস্থাও ছিল। নিজেরাই চাঁদা তুলে এই পুজোর ব্যবস্থা আয়োজন করেন। এই প্রথম নয়। প্রতিবছর একইভাবে তাঁরা ট্রেনের মধ্যে বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন। একটা দিনের পুজোকে কেন্দ্র করে তাঁরা আনন্দ করেন তা তাঁদের সারা বছরের যাত্রাপথকে অনেকটাই মসৃণ করে দেয়।

ভোর পাঁচটা চল্লিশে কাটোয়া থেকে ছেড়ে আসে ৩৭৯১৪ কাটোয়া লোকাল। হাওড়া পৌঁছয় ৮:৪৫ মিনিটে। প্রতিদিন দীর্ঘ ১৪৫ কিলোমিটার পথ সুখ-দুঃখের গল্প করতে করতে আসেন। তাঁরা কাটোয়া লোকালের চার নম্বর কামরার নিত্যযাত্রী। সবার গন্তব্য কলকাতা বা হাওড়া। খুব কম বেতনে কোনও দোকানে কেউ হেলপারের কাজ করেন। কেউ আবার সরকারি বড় অফিসার, কেউ সাংবাদিক,  কেউ-বা কলেজ পড়ুয়া। কিন্তু এই তিন ঘণ্টার যাত্রাপথে তাদের একটাই পরিচয় তারা সবাই নিত্যযাত্রী। প্রচণ্ড ঠান্ডা হোক বা গরম বা বর্ষা– নিত্যযাত্রীদের দিন শুরু হয় দীর্ঘ ট্রেন যাত্রা দিয়ে। এক একটা স্টেশন পার হয় আর চেনা মুখগুলি উঠতে থাকেন নির্দিষ্ট কামরায়।

এই তিন ঘণ্টায় তারা যেমন নিজেদের সুখ-দুঃখ তাঁরা ভাগ করে নেন সবার সঙ্গে। তেমনই আবার মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাঁটিও লাগে নিজেদের মধ্যে। কিন্তু দিনের শেষে সবার একটাই পরিচয়, তারা সহযাত্রী। সারা বছর দিন শুরুর এই তিন ঘণ্টা তারা একইসঙ্গে সময় কাটান।বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সেজে উঠেছিল চলন্ত ট্রেনের কামরা। পুজো শেষে সবার জন্য খাবার প্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল। নিজেরাই চাঁদা তুলে এই পুজোর ব্যবস্থা আয়োজন করেন। পুজোকে কেন্দ্র করে সবাই মেতে ওঠেন আনন্দে।

Related Articles