রাজ্যের খবর

শ্রীরামপুরে হাজির বন্দেভারত!দেখলেও চাপতে পারবেন না

Vande Bharat

The Truth of Bengal: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবার হাজির শ্রীরামপুরে! ভাবছেন এটা অবিশ্বাস্য। একেবারেই নয়,আসলে শ্রীরামপুরের ঝাউতলার জিসি ভট্টাচার্য স্ট্রিটের প্রভাস আচার্য তৈরি করেছেন স্বপ্নের বন্দেভারত। পেশায় পুরোহিত প্রভাস আচার্য  ছোট থেকে শখ ছিল ট্রেনের প্রতি। প্রথম জীবনে কম্পাউন্ডারের চাকরি। তার পর নিজের ফিতে তৈরীর কারখানা দিয়েই সংসার চালিয়েছেন তিনি।শখের নানা সামগ্রী তৈরি করতে করতেই, একদিন একটি আস্ত ট্রেনের মডেল বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন  এই নানা তাকলাগানো সামগ্রী তৈরির জাদুকর। ভারতে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালু হওয়ার পরই তিনি বন্দেভারতের মডেল তৈরির কথা মাথায় নেন। ৮ মাস ধরে নিজের জমানো ১৩ হাজার টাকা খরচ করে আস্ত বন্দে ভারতের মতোই একটি ট্রেনের মডেল তৈরি করেছেন তিনি।

এই বন্দে ভারত আসলে ইলেকট্রিকের সাহায্যে চলছে।তবে এই বন্দেভারত চালানো হলেও তাতে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না যাত্রীরা।কৃতী কমপাউন্ডার,  বন্দেভারত দর্শনের মোক্ষম সুযোগ করে দেওয়ায়  সবাই বেশ খুশি। যদিও এখনও পর্যন্ত আসল বন্দে ভারত ট্রেনটিকে   দেখার সৌভাগ্য হয়নি প্রভাসবাবুর। ছবিতে দেখেই হুবহু একই রকম ট্রেনের বগি তৈরি করেছেন তিনি। শুধুমাত্র ট্রেনের মডেলই নয় এই ট্রেন ইলেক্ট্রিকের সাহায্যেও চলতে পারে। নিজের ছোট্ট ঘরের কারখানার সামনে পা ফেলার জায়গা নেই, কিন্তু সেখানেই লাইন পেতে বন্দে ভারত এগিয়ে চলেছে সাইরেন দিয়ে। অ্যালুমনিয়াম শীট, লোহার পাত, কাঠ এবং ফেলে দেওয়া বেশ কিছু জিনিসপত্র তাঁর এই উদ্ভাবনী শক্তিকে পূর্ণতা দিয়েছে।

২২০ ভোল্ট ইলেকট্রিকের সাহায্যে বন্দে ভারত এগিয়ে যেতে পারে প্রায় ৩০ ফুট রেললাইন। এইসব শখ মেটাতে গিয়ে খেসারত দিতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। বাড়ির লোক ছাড়া সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউই। তবুও 65 বছর বয়সে নিজের অদম্য ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক নতুন নতুন ট্রেনের মডেল তৈরি করে চলেছেন তিনি। পৌরহিত্যের জমানো টাকায় তার এই শখ পূরণ কে প্রশ্রয় দেন স্ত্রীসহ বাড়ির সবাই। রেলের তরফে কয়েকজন অফিসার এর আগে যোগাযোগও করেছেন তার সাথে। কিন্তু তারপর আর কিছু হয়নি। প্রভাস আচার্যের ইচ্ছে তার তৈরি এই ট্রেনের মডেল স্থান পাক কোনও রেলের মিউজিয়ামে, যা দেখে উদ্বুদ্ধ হোক নতুন প্রজন্ম।

Related Articles