
The Truth of Bengal: ওর জীবনের প্রতি পদে বাধা,হাজারো চ্যালেঞ্জ। তবু হার না মানা মানসিকতা নিয়ে কালি-কলমকে সঙ্গী করে লড়াই করছে। একের পর এক পরীক্ষায় সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে এখন মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী গোঘাটের সুপ্রিয়া দত্ত। অনেকগুলো বছর এভাবেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছে। জন্মের পর ১বছর বয়সে হৃদয়ে দুটি ছিদ্র ধরা পড়ে তার। তারপর দেড়বছর বয়সে হঠাত্ স্ট্রোক হয়। তাতে মস্তিষ্কের ডান দিক অকেজো হয়ে যায়।কাজ করেনি ডান হাত। চিকিত্সকদের পরামর্শ মেনেই স্বাস্থ্য ঠিক রাখার কঠিন লড়াই লড়ছে।তবু পড়াশোনার অভ্যাস ত্যাগ করেনি এই বই অন্ত প্রাণ এই পরীক্ষার্থী।
বাড়িতে রয়েছে অভাব-অনটন।তবু অভাবী মেধাবী চায় জীবনের বাধা পেরিয়ে মাধ্যমিকে ভালো ফল করতে। রাইটারের সাহায্য নিয়েই মাধ্যমিক পরীক্ষায় লক্ষ্যভেদ করতে। এখন উদয়রাজপুরের স্থানীয় বিদ্যালয় থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছে সে। বাড়ির লোকেরা চায়,বাধা পরিয়ে জীবনের বড় মঞ্চে সুনাম আদায় নিক সুপ্রিয়া। প্রায় ৭০শতাংশ প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই পড়ে সে। স্মৃতি সেভাবে কাজ করে না। বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেলেও বারবার শুধু পড়া মনে রাখার চেষ্টা করে।
মস্তিষ্ক সেভাবে কাজ না করায় জেদ ছাড়েনি এই বছর ১৫-র মেয়েটি। মাও চান,মেয়ে পরিবারের মতোই সমাজের মুখ উজ্বল করুক। আর ৫জনের মতোই লড়াইয়ের সিঁড়ি বেয়ে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে ঠাঁই পাক। গৃহশিক্ষকও চান,চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এই লড়াকু মেয়েটি ছাপ রাখুক। ফুটপাতে দোকান দিয়েছেন বাবা শুভেন্দু দত্তা।মাও পরিশ্রম করেন মেয়ের পড়াশোনার জন্য।কষ্ট করে বাবা-মা মেয়ের চিকিৎসা ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এঁরা চান, এই কষ্টের সংসারে সুরাহা করতে প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।