রোজগার বাড়াতে টোটো চালাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের মহিলা
Alipurduar woman drives Toto to increase income

Truth Of Bengal: অভাবের সংসারের হাল ধরতে টোটো চালাচ্ছেন আলিপুরদুয়ারের সাতালির গৃহবধূ। সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার কাজ করেন তিনি। দুপুর হলেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শর্মিলা মণ্ডল নার্জিনারী। সমাজের কিছু মানুষের বিরূপ মন্তব্যকে উপেক্ষা করেই তিনি চালকের আসনে বসছেন। পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রী পরিবহণ করে তাক লাগাচ্ছেন তিনি।
স্বামীর মৃত্যুর পর জীবনের তরী বয়ে নিয়ে যেতে হাল ধরেন তিনি।ইচ্ছেশক্তির জোরে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন শর্মিলা মণ্ডল নার্জিনারী। তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল সংসারের সদস্যদের সুখের দিন ফিরিয়ে আনা। সেজন্য সকাল আটটা বাজতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন মধ্যবয়স্ক মহিলা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকার কাজ করেন তিনি।
আর কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পর কাজ করেন বাড়ির।তারপরই তিনি বিরেয়ে পড়েন টোটো নিয়ে।সংসারের বেহাল দশা কাটাতে হাল ধরেন টোটোর। ই-রিক্সায় যাত্রী পরিবহণ করেই রোজগারের সংস্থান করেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার মতোই সংসারের খুঁটিনাটি ব্যয় সমলাতে তাঁকে এই টোটো চালাতে হয়। কঠিন জীবন সংগ্রামের কথা বাংলা জাগোর সামনে তুলে ধরেন অসহায় মহিলা।
শর্মিলা মণ্ডল নার্জিনারী আরও বলেন, “একজন মহিলাকে ই-রিকশা চালাতে দেখে অনেকেই প্রথমে অবাক হয়েছিলেন, কেউ কেউ এ নিয়ে ঠাট্টাও করতেন। তবে ধীরে ধীরে সকলেই বুঝে গিয়েছেন শুধু ছেলেরাই নয়, মহিলারাও দুহাত দিয়ে যন্ত্রসভ্যতার চাকা এগিয়ে নিতে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গে রোজগারের নানা উপায় করে দিচ্ছে প্রশাসন। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে মহিলারা উপার্জন করে তাক লাগাচ্ছেন। আর সেই সংগ্রামী নারীশক্তির মুখ হয়ে উঠছেন শর্মিলা মণ্ডল নার্জিনারী।