রাজ্যের খবর

আনন্দের আবহে মধু সংগ্রহ, জিআই তকমায় বিপণের সুবিধা

After the GI Takma the work of honey collection has started in Sundarbans with new zeal

The Truth of Bengal: জিআই তকমা মেলার পর সুন্দরবনে নতুন উদ্যমে মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। রায়দিঘি রেঞ্জের কুলতলি বিটে প্রকৃতির অনন্য উপহার মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে।এবছর কেজি প্রতি মধুর দাম ধার্য করা হয়েছে ৩০০টাকা। লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ১০টন। প্যাকেজিংয়ের পর মধুবন নামে ব্রান্ডের মাধ্যমে বাজারে চলবে বেচাকেনা। সুন্দরবনের সবুজঅরণ্যভূমির সনাতনী স্বাদের কথাই উঠে এসেছে আমাদের প্রতিবেদনে।

জিআই মর্যাদা মেলার পর মধুর গুণমাণ আর উপযোগিতা বাজারে তুলে ধরার আলাদা উদ্যোগ রয়েছে সরকারি স্তরে। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও  বন বিভাগের মৌলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যান।  মাসখানেক ধরে জঙ্গলে মৌচাক খুঁজে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন।এবার সুন্দরবনের রায়দিঘির কুলতলি বিটে প্রকৃতির উপহার সবার মুখে তুলে দেওয়ার কর্মষজ্ঞ চলছে অতি আনন্দ সহকারে।মৌলেরা মধু সংগ্রহ করতে নেমেছেন আটঘাট বেঁধে। বলা যায়,  বন দফতর নির্দিষ্ট দামে  মৌলেদের কাছ থেকে এই মধু কিনে নেয়। এবার কেজি প্রতি মধুর দাম ধরা হয়েছে ৩০০টাকা।লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০টন।এবার ২৪৩জন মধু সংগ্রহকারী এই কাজে নেমেছেন।প্রশাসন তাঁদের সবররকম সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করছে।সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় মৌলেদের আনা হয়েছে।

অপরূপ স্বাদের এই  মধুই গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ‘মৌবন’ নামে বাজারজাত করছে। এই মধু বন উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন কটেজ-সহ বন দফতরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিক্রি করা হয়। প্রতিবছর এই মধু সংগ্রহের সময় সুন্দরবনে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়ে যায় । বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য রুখতে পুলিশ প্রশাসন ও বনদফতরের উদ্যোগে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে  ।প্রাথমিক ভাবে 15 দিনের জন্য মধু সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে । প্রথম 15 দিনে সংগৃহীত মধু বনদফতরের কাছে জমা দিয়ে ফের দ্বিতীয় দফায় জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহের জন্য রওনা দেবেন সংগ্রহকারীরা।

মধু সংগ্রহকারীদের নিরাপদে ফিরে আসার জন্য স্ট্যাটেজিক পয়েন্টে বনকর্মীরা নজর রাখবেন।প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে মধুর বিপণন খোলাবাজারে বাড়তি লক্ষ্মীলাভ ঘটাবে বলে আশা সুন্দরবনের মানুষের।

Related Articles