
Truth Of Bengal: কলকাতার মতোই বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা দেখা গেল হুগলির কানাইপুরে। গঙ্গানগর এলাকায় পুকুর থেকে জল তুলে ফেলার পরই বাড়িতে ফাটল ধরে। তারপরই হেলে পড়ে বাড়ির একাংশ। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানও ইঞ্জিনিয়ররা বলছে, অপরিকল্পিত জল তুলে ফেলার জন্য বিপত্তি হয়েছে। জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণে বাড়ি হেলে পড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
কলকাতা শহরে একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ায় আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। বাঘাযতীন,বাগুইআটি, ট্যাংরা, তপসিয়া, এন্টালি, মুকুন্দপুর,কসবা সহ বিভিন্ন জায়গায় বহুতলের ঠোকাঠুকি নজরে এসেছে।ভূতত্ববিদরা বলছেন, কংক্রিটের জঙ্গলে দ্রুত নামছে জলস্তর। আলগা হচ্ছে মাটির বাঁধন।মাটি যত দুর্বল হচ্ছে তত বিপদের সম্ভবনা বাড়ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভূতত্ববিদরা। এই অবস্থায় নির্দেশিকা জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
কলকাতা সহ রাজ্যের সব পুরসভার উদ্দেশে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাড়ি তৈরির অনুমোদনে বাধ্যতামূলক মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের ছাড়পত্র। এবার সেই বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা দেখা গেল হুগলির কানাইপুরে। গঙ্গানগর এলাকায় একটি বাড়ি হেলে পড়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। বাড়ির ভিতে কোথাও কী দুর্বলতা রয়েছে,আসলে গোড়ায় কী গলদ রয়েছে,এই সব প্রশ্নই এখন বড় করে দেখা দিচ্ছে।
বাড়ির মালিক বলছেন, ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি এই বাড়িতে বাস করেন। কোনওদিন দেখেননি এভাবে বাড়ি হেলে পড়েছে।বর্তমানে রাজ্য সরকারের এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর কোনওমতে পেনশনে সংসার চলে। পুকুরের কাছে বাড়ি হওয়ায় বাড়ির নীচে পাইলিং দেওয়া হয়। তারমাঝে এই বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনায় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ও ইঞ্জিনিয়র মনে করছেন, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর থেকে জল তুলে ফেলার জন্য বিপত্তি হয়েছে। পঞ্চায়েত সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপ-প্রধান।
এভাবে বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা বাড়ায় পুর-নগরোন্নয়ন দফতর নির্দেশিকা দিয়েছে, আগামীদিনে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের ছাড়পত্র না থাকলে বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন করা হবে না। তাই পুরসভার মতোই পঞ্চায়েত এলাকাতেও এই বাড়ির সমস্যা মাথা চাড়া দেওয়ায় তা প্রশাসনকে যে ভাবাচ্ছে তা বলাই যায়।রাকেশ চক্রবর্তীর রিপোর্ট।