দেউচা পাচামিতে জন-পরিষেবা দিতে অতি তত্পর প্রশাসন
Administration very active in providing public services in Deucha Pachami

Truth Of Bengal: বাংলার শিল্পমানচিত্রে দেউচা পাচামির সূর্যোদয় অর্থনীতির ভোলবদলে দিচ্ছে। খনি শিল্পের মাধ্যমে যেমন বিদ্যুত উত্পাদন নিশ্চিত হচ্ছে, তেমনই আবার আর্থ-সামাজিক বিকাশও ঘটাচ্ছে। এরমধ্যে জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার স্থানীয়দের পরিষেবা প্রদানের শিবির করা হল। বিশেষ শিবির থেকে ১৩০৬টি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্প দেউচা পাচামি রোজগারের দুয়ার খুলে দিচ্ছে। শিল্পায়নের সেই দুয়ারে মিলবে অফুরন্ত কয়লা। আর কয়লাকে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে নিশ্চিত করা যাবে বিদ্যুত উত্পাদন। ১০০বছর বিদ্যুতের জোগান নিয়ে আর বাংলাকে ভাবতেই হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেছেন।
শিল্পের এই আঁতুরঘরে বাংলা জাগোর ক্যামেরা পৌঁছে গিয়েছিল। গ্রাউন্ড জিরোয় দেখা যায়, পূর্ণ-উদ্যমে কাজ চলছে, আদিবাসী সমাজকে উন্নয়নের কাজে যুক্ত করেই শিল্পের সূর্যোদয় ঘটানো হচ্ছে। বিরোধীদের প্ররোচনা, বাংলা বিরোধী শক্তির অপপ্রচার খণ্ডন করেই শিল্প-খণ্ডে আলাদা তত্পরতা নজরকাড়া।
কয়লা খনন কাজ শুরুর পরদিন থেকেই জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় পৃথক পাঁচটি অস্থায়ী শিবির করা হয়েছিল। মূলত ওই শিবিরগুলি থেকে জমির নথি সংশোধন সংক্রান্ত কাজে সাধারণ মানুষ আবেদন জানিয়েছিলেন। আরও ১৩০৫জনের দুয়ারে পরিষেবা প্রদান করে কথা রাখলো প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে কয়লা শিল্পের খনন কাজ ও শুরু হয়েছে। শিল্পকে ঘিরে দেউচা পাচামি হয়ে উঠছে বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সোপান। সেই সিঁড়ি ধরেই আরও উন্নয়ন তরান্বিত করা যাবে বলে আশা অনেকের।