রাজ্যের খবর

স্বাস্থ্যসাথীর টাকা হাতানোর ছক, ভুয়ো রিপোর্ট বানিয়ে অস্ত্রপচারের চেষ্টা

A scheme to extort money from a health worker, an attempt to perform surgery by making a fake report

Truth Of Bengal: ভুয়ো রিপোর্ট বানিয়ে অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি চলছিল । স্বাস্থ্যসাথীতে ‘ক্লেইম’ করা হয়েছিল অস্ত্রোপচারের টাকাও । অবশেষে ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেল্যান্স টিমের হস্তক্ষেপে ধরা পড়ল চিকিৎসা পরিষেবার নামে টাকা হাতানোর এই চক্র । ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে মালদা জেলা প্রশাসন ।

অভিযোগ, মানিকচকের ভূতনি এলাকার বাসিন্দা পাঁচ বছরের একটি মেয়ের পেটে ব্যথার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। অভিভাবকরা ওই শিশুকে স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তারকে দেখান। অভিযোগ, ওই ডাক্তার নির্দিষ্ট একটি সেন্টার থেকে ইউএসজি করানোর পরামর্শ দেন।পরিবারের লোকজন ওই সেন্টারের বদলে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোম থেকে  ইউএসজি করান। রিপোর্ট ঠিক থাকলেও তা মানতে চাননি চিকিৎসক। আবার তিনি ওই সেন্টার থেকেই পরীক্ষা করাতে বলেন ।রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের কথামতো সেই সেন্টার থেকে পরীক্ষার পর রিপোর্টে অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ে । শিশুটিকে কালিয়াচকের একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে নার্সিংহোমে ভরতি করতে গিয়ে খানিক সমস্যা দেখা যায় । সেই সমস্যা থেকেই বিষয়টি সামনে আসে ।

এর পর স্বাস্থ্যসাথীতে অপারেশনের জন্য ক্লেইম আসতেই নার্সিংহোমে হানা দেয় ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেল্যান্স টিম। গতকাল অস্ত্রোপচার রুখে, সেখানেই পুনরায় ইউএসজি করানো হয় । তাতে অ্যাপেনডিক্সের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। শেষমেশ শিশুটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।এরপর মেডিক্যালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা আবারও ওই শিশুর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করেছেন ।

অতিরিক্ত জেলাশাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেন, “একজন হাতুড়ে ডাক্তার একটি ছোটো মেয়েকে ইউএসজি করতে বলেছিলেন । কথামতো পরিবার শিশুটিকে মালদা শহরের একটি নার্সিংহোম থেকে পরীক্ষা করায় এবং সেই রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। কিন্তু ওই হাতুড়ে ডাক্তার সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে অন্য জায়গা থেকে পরীক্ষা করাতে বলেন। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে আবার ওই শিশুর অ্যাপেনডিক্স ধরা পড়ে । যেখানে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল ওই নার্সিংহোমেই স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে রোগীকে ভরতি করা হয়”।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে সেই খবর আসে । খবরের ভিত্তিতে হানা দিয়ে অস্ত্রোপচার আটকানো হয় । একজন ডাক্তারকে দিয়ে শিশুর পরীক্ষা করে করানো হয় । সেখানে লাং-ইনফেকশন ধরা পড়ে । তাহলে ওই শিশুর ভুল ইউএসজি রিপোর্ট কীভাবে হল। যিনি এই পরীক্ষা করেছিলেন, যে চিকিৎসক অপারেশন করতে যাচ্ছিলেন এবং ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে চলেছি”।

Related Articles