২৪ লাখ ৫০ হাজার বঞ্চিত পাবে মজুরি, চলতি মাসের ২৬ তারিখ বকেয়া মেটাতে সহায়তা শিবির
26th of this month aid camp to settle the arrears

The Truth Of Bengal : একশদিনের কাজের যাঁরা মজুরি পাননি তাঁদের ২৬ ফেব্রুয়ারি বকেয়া টাকা দেওয়া হবে। সংখ্যাটা ২১ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫০হাজার। বীরভূমের সভা থেকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঞ্চিতদের সহায়তা শিবিরে আবেদন করার আহ্বানও জানান তিনি। রবিবার রাজ্যের নানা অংশের শ্রমিকরা আবেদনপত্র জমা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত সহায়তা শিবিরে।
সংবিধান অনুসারে কাজ করালে টাকা দিতে হয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সংবিধানকে মান্যতা না দিয়ে ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড হোল্ডারদের দীর্ঘদিন টাকা দিচ্ছে না। বছরের পর বছর বকেয়া না পেয়ে বঞ্চিতরা আন্দোলন করে চলেছে তবু কেন্দ্র মানবিক হচ্ছে না,দায়িত্ব পালন করছে না। এই অবস্থায় একশিদনের কাজের জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা মেটাতে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। কর্মশ্রী প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে ৫০দিনের কাজের গ্যারান্টি। এরমধ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা প্রদানে এসওপি তৈরি করা হয়েছে। বঞ্চিতদের সাহায্য করার জন্য সহায়তা শিবির করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বীরভূমের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন। আগে ২১লাখ জবকার্ড হোল্ডারকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। বঞ্চিতদের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪লাখ ৫০ হাজার। সেইমতো প্রশাসনিক স্তরে প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য। ২৪লাখ ৫০ হাজার শ্রমিক ২৬ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা পাবেন। বকেয়া মেটাতে বরাদ্দ বেড়েছে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত হয়ে রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন অংশের জবকার্ড হোল্ডাররা সহায়তা শিবিরে নাম লেখান।আবেদনপত্র জমা দেন।অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল নেতাও কর্মীরা। মেহনত করেও মর্যাদা পাননি।বাংলার বাসিন্দা বলে মাসুল দিতে হয়েছে।কেন্দ্রের সরকার জবকার্ড দুর্নীতি সত্বেও উত্তরপ্রদেশ,মধ্যপ্রদেশের জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা আটকায়নি।শুধুই বাংলার খেটেখাওয়া মানুষকে নানা ছলনায় ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। সেজায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলায় বিকল্প পথে টাকা মেটানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন শ্রমিক সমাজ।২৬ফেব্রুয়ারি মজুরি মিলবে।লড়াই-আন্দোলন করার পর রাজ্য সরকারই মানবিকতার হাত বাড়াল,কেন্দ্র মজুরির টাকা দেয়নি।তাই বাংলার প্রশাসন সহায়তা শিবিরের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করায় ঘুরে দাঁড়ানোর মনবল ফিরে পাচ্ছেন ব়়ঞ্চিতরা।
FREE ACCESS