
The Truth Of Bengal : জাহেদ মিস্ত্রী, রায়দিঘী : বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে ১৩ জন মৎস্যজীবী সহ নিখোঁজ রায়দিঘির একটি ট্রলার। গত সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে আর কোন যোগাযোগ নেই ট্রলারটির সঙ্গে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওই মৎস্যজীবীদের পরিবার। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি উপকূল রক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাহিনীর পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে কয়েক দফায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে। জেলা মৎস্য দফতর ও প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রায়দিঘি ঘাট থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলার এফবি মাতৃআাশিষ গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। গভীর সমুদ্রে পৌঁছে যওয়ার পরও যোগাযোগ হয়েছিল৷ কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।
বিস্তারিত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, বর্ষার আগমনের আগে ওঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন বঙ্গোপসাগরে। ইলিশ ধরতে যান রায়দিঘির ১৩জন মত্স্যজীবী। ট্রলারে চেপে গভীর সাগরে যান। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে আর কোনও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি ধীবরদের। কোথায় তাঁরা রয়েছেন, সেই লোকেশন ট্রাক করার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের খোঁজ মিলছে না। বলা যায়, গত ১৫ জুন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রায়দিঘি ঘাট থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবী ট্রলার এফবি মাতৃ- আাশিসে চড়েন।
তারপর গভীর সমুদ্রে তাঁরা রওনা দেন। এই অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে আনার জন্য উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।উপকূল রক্ষী বাহিনী সেই ট্রলারের সন্ধান পাওয়ার জন্য তত্পরতা বাড়িয়েছে।জেলা মত্স্যদফতর ও প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় জারি রেখেছে।কিভাবে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ট্রলারটিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যাবে তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। অতীতে এভাবে অনেক ট্রলার নিখোঁজ হয়ে গেছে।কখনও তাঁরা জলদস্যুদের কবলে পড়েন,কখনও আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পথ হারায়।কিন্তু এই বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রলারটি কোথায় গেল সেই সন্ধান পাওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে।